আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7173

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 8 জানু. 2025

প্রশ্ন

মেয়ে, বাবা ও মা – এই তিনজন মিলে পরিবার।

বাবা: একজন সরকারি ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী ছিলেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত। বর্তমানে প্রতি মাসে ১২০০০ টাকা পেনশন পান। তিনি জজকোর্ট মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং একজন বক্তা(বিভিন্ন যায়গায় মাহফিল করেন)। মসজিদ থেকে মাসে ৩০০০ টাকা করে দেয় এবং মাহফিল থেকেও অল্প পরিমান সম্মানী পান। তবে সাধারন বক্তাদের মতো বেশি টাকা না। অবসরে যাওয়ার সময় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন, ১০ লক্ষ নিজের ব্যাংক একাউন্টে, ১০ লক্ষ মেয়ের ব্যাংক একাউন্টে বাকি ১০ লক্ষ স্ত্রীর মহরানা বাবদ স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে দিয়েছেন। ক্রয়কৃত এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মোট জমি থেকে এখন বছরে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আসে। জমিগুলো যদি সব বিক্রি করে দেয়া হয় তাহলে প্রায় ১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

বাবার মেমরি লস হচ্ছে (এটি একটি রোগ, কোনো কিছু বুঝতে সময় লাগে, সহজেই ভুলে যায়)। টাকা দিয়ে কোনো ব্যবসা করার মতো বুদ্ধিমান হিসেবে মনে হচ্ছে না।

প্রতি মাসে স্ত্রীর পেছনে প্রায় ৫ হাজার টাকার ঔষধ এবং নিজের জন্য প্রায় ২-৩ হাজর টাকার ঔষধ কিনতে হয়। নিজের বাড়ি থাকায় বাসা ভাড়া দিতে হয়না। বাকি থাকে খাবার, মেহমান, দান সদকা, ঈদ, কুরবানী এসব খরচ তো মোটামুটি অনুমেয়।

এমতাবস্থায় এই বাবার খেদমতের জন্য একমাত্র মেয়ের চাকরি করবে কি না? বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাত্কে দেখাশুনা করার দায়িত্ব তো এই মেয়েরই।

মেয়ে বর্তমানে একটি মহিলা মাদ্রাসার লেকচারার হিসেবে চাকরিরত। এখানে পুরুষ শিক্ষক আছে। তাদের সাথে মাঝে মধ্যে দেখা ও কথা হয় যদিও বোরকা নিকাব করা হয়।

পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা, মেয়ের কর্মপরিবেশ বিবেচনা করে ঘরের বাহিরে চাকরি করা বৈধ হচ্ছে কি না?

মেয়ে চাকরি ছেড়ে দিলে পিতা মাতা অসন্তুষ্ট হলে মেয়ের গুনাহ হবে কিনা?

উত্তর

বর্তমানে ঐ বাবার যে উপার্জন সেটা দিয়ে যদি তার পরিবার চলে তাহলে ঐ মেয়ের ওপর আবশ্যক নয় পিতা-মাতাকে আর্থিক সহায়তা করা। ব্যাংকে রাখা টাকা থেকে সুদ নিতে পারবেন না। মেয়েদের চাকুরীর ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। মেয়ে পুরোপুরি ইসলামের পথে চলার স্বার্থে চাকুরি ছেড়ে দিলে পিতা মাতা অসন্তুষ্ট হলে মেয়ের গুনাহ হবে না। মেয়েদের দিয়ে চাকুরী করানো একটি মানসিক রোগ। এই মানসিক রোগ থেকে বের হওয়া কঠিন।