আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7111

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 6 নভে. 2024

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বামী আমার ভরণপোষণের বিষয়ে মনযোগী। কিন্তু তিনি আমার প্রতি কোনো যত্ন, সেবা, মায়া কিংবা ভালবাসা রাখেন না৷ আমি অসুস্থ থাকলেও খোঁজ নেন না। এতে আমি মাঝেমধ্যে অভিযোগ করি, কান্না করি৷ তাতেও তিনি মনক্ষুন্ন হন৷ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেও তার আগ্রহ নেই। জানতে চাচ্ছি, স্বামী ও স্ত্রীর ফরয দায়িত্ব কি কি?  যেহেতু সে আমার ভরণপোষণ করছে তাই আমার অন্যসব অভিযোগ করা কি গুনাহ হচ্ছে?

আমার স্বামী বলে সন্তান নিতে, কিন্তু তার অবস্থা থেকে আমি জানি তিনি গর্ভকালীন বা সন্তান হওয়ার পর স্ত্রীর বা সন্তানের যত্ন করবেন না, সময় দিবেন না। তার অফিস করে এসে এসব করা সম্ভব না। এমতাবস্থায় আমি তার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সন্তান নিতে অনাগ্রহী হলে কি গুনাহগার হবো?

আমি প্রতিনিয়ত ই দুয়া করি স্বামীর জন্য। কিন্তু জানিনা কেন, বাইরে অফিস আর ঘরে ফোন ছাড়া তিনি অন্যকিছুতেই আগ্রহী নন।

উত্তর

যত্ন, ভালোবাসা এগুলো আপেক্ষিক ব্যাপার। তিনি ভরন-পোষন করছেন, বাসায় নিয়মিত আসছেন। এটাকে তিন যত্ন এবং ভালোবাসার জন্য যথেষ্ট মনে করছেন। আপনার কাছে কম মনে হচ্ছে। সব মানুষের মন -মেজাজ এক নয়। সুতরাং সে আপনার মানসিকতার হবে, এটা ভাবা অমূলক।   স্বামী বাইরে কাজ করে এসে আপনার কী যত্ন নিবে বা নেয়া সম্ভব সেটা অপনাকেও বুঝতে হবে। স্বামীর কাজের হিসেবের চাইতে আপনি নিজের কাজ পরিপূর্ণ করছেন কিনা সে দিকে মন দিবেন। দ্রুত সন্তান নিন। এসব আজগুবি চিন্তা করে সন্তান নেয়া থেকে বিরত থাকা নীচু মানের কাজ। মনে রাখবেন সন্তান নেয়া আপনার হাতে নয়, আল্লাহ না চাইলে হবে না। স্বামীর সকল বৈধ আদেশ মেনে চলবেন। ফরজ দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করলে হবে না, সামাজিক সকল দায়িত্ব পালন না করলে সংসারে শান্তি থাকবে না। সন্তানের লালন পালনের ঘরোয়া দায়িত্ব আপনি পালন করবেন। অর্থনৈতিক দায়িত্ব সে পালন করবে। দেশের লাখো মা সন্তান লালন-পালন করছে, যাদের স্বামীরা চাকুরী করে। এমনকি মায়েরও চাকুরী করে সন্তান লালন পালন করছে। গর্ভাবস্থায় আপনি সমস্যায় পড়লে সে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করবে, এমনটা কখনোই হবে না। তবে তার উপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা করে তাকে কষ্ট দিবেন না, নিজেও কষ্টে পড়বেন না। পুরুষরা বাইরের কাজ করবে, আর নারীরা ভিতরের কাজগুলো করবে, অর্থনৈতিক সকল দায়িত্ব পুরুষরা পালন করবে।