আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6752

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 2 মার্চ 2024

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শায়েখ।

আশা করি আমার প্রশ্নের উত্তর টা দিবেন।মানষিকভাবে খুবই কষ্টে আছি বিষয়টা নিয়ে। কোন সমাধান পাচ্ছি না। আমি দুবাই থাকি হাসবেন্ডের সাথে। আমার ১ বছরের ছোট বাচ্চা আছে। এখানে মহিলাদের মসজিদে নামাজের ব্যাবস্থা আছে আলহামদুলিল্লাহ। কয়েক সপ্তাহ আগে মসজিদে জামাতে জুম্মার নামাজরত অবস্থায় আমার বাচ্চাটা প্রচন্ডভাবে কান্না শুরু করে। কিন্তু আমি নামাজটা না  ভেংগে তাকে কোলে নিয়ে নামাজ চালিয়ে যায়। ভেবেছিলাম ২ রাকাত নামাজই তো কোলে নিয়ে পড়ে ফেলি। কিন্তু বাচ্চা কান্না নামাজ শেষ অব্দি থামাতে পারিনি আমি। নামাজ শেষে ১ জন মহিলা আমার উপর প্রচন্ড রেগে যান, কেন আমি নামাজ ভেংগে বাচ্চার কান্না থামায়নি। এটা নিয়ে অনেকের নামাজের অসুবিধা হয়েছে সেটা আমি বুঝতে পারি। কিন্তু তখন নিজের নামাজ রক্ষার জন্য, জুম্মার সওয়াব নষ্ট হবে এই ভেবে আমি নামাজ ভাংগিনি।  ওই মহিলার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নেই ওই ঘটনার জন্য। আমি মানষিকভাবে  খুবই কষ্ট পাচ্ছি, আল্লাহর কাছে তওবা করছি, ভিতর টা আমার শেষ হয়ে যাচ্ছে। বান্দার হকের ব্যাপারে আমি সচেতন হওয়ার সরবাত্তক চেস্টা করি। কেন আমি তাদেরকে নামাজরত অবস্থায় কষ্ট দিলাম। বাচ্চাকে নিয়ে বের হয়ে গেলেই পারতাম।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার এখন কি করা উচিৎ।

কি করলে পরকালে আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন। এটা কি বান্দার হক নষ্ট হয়েছে? আমি সবার কাছে ক্ষমা যে চাইবো সেটার ব্যবস্থা কিভাবে করবো।

এখানে বিভিন্ন ভাষা ভাষীর লোকজন।  মুখে বলেও তো বুঝানো কঠিন। কি করবো কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। অনুগ্রহ করে একটা উপায় অন্তত বলেন যেটা নবীজি (সা 🙂 শিখিয়েছেন।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এই বিষয়টি নিয়ে এতো চিন্তার কিছু নেই। বাচ্চারা থাকলে এমন সমস্যা হতেই পারে, এটা মেনে নেয়ার মানসিকতা সবার থাকতে হবে। ঐ মহিলার এতো রাগারাগি করা উচিত হয় নি। আপনি সামনে থেকে সাবধান হবেন, বাচ্চাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে বাচ্চা বড় হওয়া পর্যন্ত বাসায় নামায আদায় করবেন।