হাতা, গলা ইত্যাদি সহ শরীরের মাপে কেটে ও সেলাই করে শরীরের ঊর্ধ্বাংশের জন্য প্রস্তুত সকল পোশাককেই আরবিতে “কামীস” বলা চলে। ব্যাপক অর্থে পাঞ্জাবি, শার্ট, পিরহান, দেশীয় বা ভারতীয় ‘কামিজ’ ইত্যাদি সবকিছুই আরবিতে “কামীস” বলে গণ্য। 1মুবারকপুরী, মুহাম্মাদ আব্দুর রাহমান, তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৭২।
রাসূলুল্লাহ লুঙ্গি-চাদরের পাশাপশি “কামীস” বা জামা পরিধান করতেন। তাঁর জামা বা কামীস ছিল বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত পিরহান বা আরবীয় জামার মত। যদিও তাঁর সময়ে তাঁর সমাজে ইযার ও রিদার বা লুঙ্গি ও চাদরের প্রচলনই ছিল সবচেয়ে বেশি, তবে ‘কামীস’ বা জামাও ব্যাপকভাবে পরিচিত ও ব্যবহৃত ছিল।