এ সকল উপকরণের ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলি লক্ষণীয় :
প্রথমত, এ উপকরণগুলি ইসলামের বিধিবিধানের পরিপন্থী না হলে তা প্রয়োজন ও সুযোগমত ব্যবহার করা যাবে। তবে সেগুলিকে কখনোই দ্বীনের বা ইবাদতের অংশ মনে করা যাবে না। কেউ সেগুলি ব্যবহার না করলে তাকে নিন্দা করা বা তার দা‘ওয়াতের ইবাদত পালনে ত্রুটি হচ্ছে বলে মনে করার অবকাশ নেই।
দ্বিতীয়ত, প্রয়োজন অনুসারেই তা ব্যবহার করতে হবে। এ সকল উপকরণের ব্যবহারে অমুসলিম স¤প্রদায়ের অন্ধ অনুকরণ অবশ্যই বর্জনীয়।
তৃতীয়ত, এ সকল উপকরণের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ইসলামী আখলাকের পূর্ণ উপস্থিতি আবশ্যকীয়। আন্তরিকতা, ভালবাসা, বিনম্রতা, বন্ধুভাবাপন্নতা, উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয় সকল অবস্থায় পালনীয়। গীবত, ঢালাও অভিযোগ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই বর্জনীয়। অনেক সময় আমরা ওয়ায, দা‘ওয়াত, তাফসীর, খুতবা ইত্যাদির সময় ইসলামী আখলাক অনুসরণ করি। পক্ষান্তরে নির্বাচন, জনসভা, মিছিল, র্যালী ইত্যাদির সময়ে পাশ্চাত্য রীতির অনুসরণ করি। এগুলিতে আমরা কাফির—ফাসিকদের মত জ্বালাও পোড়াও, ভেঙ্গে ফেল, গুড়িয়ে দাও ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার, চিৎকার, লাফালাফি, গালাগালি, হাতে তালি ইত্যাদি ইসলাম— নিষিদ্ধ কর্ম করে থাকি। মনে হয় এগুলিতে ইসলাম পালনের প্রয়োজন নেই বা এগুলি ইসলামী কায়দায় করা যায় না। কাফির ফাসিকদের ক্ষমতার দ্বন্ধ ও মুমিনের দা‘ওয়াত ও দীন প্রতিষ্ঠা কখনোই একই আখলাকের হতে পারে না।
বই: আল্লাহর পথে দাওয়াত,
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমহুল্লাহ
1 Comment
Tanvir Ahmed Tasin
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ নসিহত