ব্যক্তি হৃদয়কে পবিত্র করতে এবং পার্থিব আকর্ষণ থেকে বিমুক্ত করতে নির্জনবাসের ফল অতুলনীয়। এজন্য বিভিন্ন ধর্মের সাধকগণ প্রাচীনকাল থেকে নির্জনবাস বা সন্ন্যাস অবলম্বন করেছেন। তারা জগতের সকল কোলাহল হতে মুক্ত থেকে একাগ্র মনে শুধু তাদের প্রেমাস্পদ স্রষ্টার উপাসনা ও ধ্যানে মগ্ন থেকেছেন। এভাবে তারা আধ্যাত্মিক শক্তি ও উন্নতি অর্জন করেছেন। ইসলামে এ ধরনের নির্জনবাস বা সন্ন্যাসকে কখনই সমর্থন করা হয়নি।
বরং সমাজে থেকে সমাজের সকল কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করে নিজে ভালো থাকতে ও সমাজকে ভালো পথে পরিচালনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণভাবে সমাজ পাপময় হলে সমাজের মধ্যে থেকেই ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা একাকী হয়ে যাওয়াকে সমর্থন করা হয়েছে। এ সকল সাধারণ নিষ্ক্রিয়তার হাদীসের উপর ভিত্তি করে অনেক সূফী সাধক পুরোপুরি নির্জনবাস বা বনে জঙ্গলে অবস্থান বেছে নিয়েছেন।
তাঁরা এগুলিকে আল্লাহপ্রেমের উচ্চ শিখরে আরোহণের, বেলায়াত ও কারামাত অর্জনের অন্যতম পথ মনে করেছেন। মধ্যযুগীয় যে কোনো সূফী সাধকের গ্রন্থে বা জীবনীতে আমরা এধরনের অনেক ঘটনা দেখতে পাব। চিশ্তিয়া ও অন্যান্য সূফী তরীকায় চিল্লাকাশি বা ৪০ দিন অথবা কয়েক ৪০ দিন নির্ধারিতভাবে নির্জনবাসকে বিশেষভাবে তরীকতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, বই: এহ্ইয়াউস সুনান, পৃ. ১৭৫।
হালাল উপার্জন ও হারাম বর্জন, ওহীর প্রকারভেদ: কুরআন ও হাদীস, ইসলামী আকীদার উৎস ও ভিত্তি ওহীর ইলম, আল্লাহর পথের পথিকদের পাপ, সকল ধর্মই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার, প্রমাণের উপায় কী?