জাদু কাটানোর জন্য যে জাদু ব্যবহার করা হয় তাকে আরবীতে “নাশরাহ” (প্রকাশ করা, উন্মুক্ত করা) বলে। জাবির রা. বলেন:
سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ النُّشْرَةِ فَقَالَ هُوَ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ
“রাসূলুল্লাহ সা.-কে ‘নাশরাহ’ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: এটি শয়তানের কর্ম।”1হাদীসটি সহীহ। -আবূ দাঊদ (কিতাবুত তিব্ব, বাবুন ফিন নাশরাহ) ৪/৫ (ভারতীয় ২/৫৪০); মুসনাদ আহমদ ৩/২৯৪।
এজন্য মুমিনের দায়িত্ব বিপদে-কষ্টে ধৈর্যধারণ করা এবং ঈমানের সংরক্ষণ-সহ সুস্থতা অর্জনের চেষ্টা করা। জাদুকর বা জিন-সাধকদের মাধ্যমে চিকিৎসার চেষ্টা করে মুমিন ঈমান হারানোর পাশাপাশি অর্থ হারান এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো স্থায়ী সুস্থতা লাভ করতে পারেন না।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)
রাহে বেলায়াত, জানুয়ারি ২০২১ ঈসায়ী, পৃ. ৬০৫