وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ
“যতক্ষণ একজন মানুষ অন্য কোনো মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে ততক্ষণ আল্লাহ তার কল্যাণে রত থাকবেন।”1মুসলিম, আস-সহীহ ৪/২০৭৪।
صَنَائِعُ الْمَعْرُوْفِ تَقِيْ مَصَارِعَ السُّوْءِ وَصَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِىءُ غَضَبَ الرَّبِّ وَصِلَةُ الرَّحِمِ تَزِيْدُ فِيْ الْعُمُرِ
“মানব-কল্যাণমুখী কর্ম বিপদাপদ ও অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে, গোপন দান আল্লাহর ক্রোধ নির্বাপিত করে, রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা আয়ু বৃদ্ধি করে।”2হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/১১৫; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/২১৬। হাদীসটি হাসান।
দরিদ্র, এতিম, বিধবা ও অনুরূপ সমাজের দুর্বল শ্রেণীগুলির সেবা ও স্বার্থরক্ষার চেষ্টার জন্য রয়েছে বিশেষ সাওয়াব ও মর্যাদা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: أَنَا وَكَافِلُ الْيَتِيمِ فِي الْجَنَّةِ هَكَذَا وَقَالَ بِإِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى
“যে ব্যক্তি এতিম-অনাথের রক্ষণাবেক্ষণ বা লালনপালন করে সে আমার সাথে পাশাপাশি জান্নাতে থাকবে, একথা বলে তিনি মধ্যমা ও তর্জনীকে পাশাপাশি রেখে দেখান।”3বুখারী, আস-সহীহ ৫/২০৩২, ২২৩৭।
السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالْمِسْكِينِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَكَالْقَائِمِ لا يَفْتُرُ وَكَالصَّائِمِ لا يُفْطِرُ
“বিধবা ও দরিদ্রদের স্বার্থসংরক্ষণ বা কল্যাণের জন্য চেষ্টারত মানুষ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে রত, ক্লান্তিহীন বিরামহীন তাহাজ্জুদ আদায়কারী এবং অবিরত সিয়ামপালনকারী ব্যক্তির ন্যায়।”4বুখারী, আস-সহীহ ৫/২০৪৭, ২২৩৭; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/২২৮৬।