As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর

আস-সালামু আলাইকুম। কিছুদিন ধরে একটি বিষয় মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।আশা করি উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করবেন। বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে আমার আন্ডারওয়্যার মোযী দিয়ে নাপাক থাকে। আশেপাশের কারো কারো পস্রাবের ফোঁটা দিয়ে নাপাক থাকে।সাধারণত আন্ডারওয়্যারগুলোর সামনের অংশে (যে অংশটা লিঙ্গের উপর এবং আশেপাশে থাকে) ডাবল কাপড় থাকে। এখন, আন্ডারওয়্যারের উপরের প্যান্টটি পাক পরা হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে চলাফেরা করতে গেলে প্যান্টের কিছু অংশ ঘামে ভেজা উরুতে লাগে এবং প্যান্টের সেই অংশটিই আন্ডারওয়্যারের সংস্পর্শে আসে উঠতে বসতে গেলে। এমতাবস্থায় প্যান্টটি,পায়ের উরুর অংশ কী নাপাক বিবেচনা হবে?
আস-সালামু আলাইকুম, মহিলাদের মাসিকের কত দিন পরে সহবাস করা যাবে? নাকি বন্ধ হলেই সহবাস করা যাবে?
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বপ্নদোষ হলে আমি স্বাভাবিক ভাবে শুধু বীর্য টকু ধুয়ে ফেলে দিয়ে গোসলের নিয়ত করে ওযু করে গোসল করে ফেলি। এতে কি আমার গোসল আদায় হয়ে যাবে? আর কি কিছু করা প্রয়োজন ছিল?
আছ-ছালামু আলাইকুম । আমি ডাক্তার মনির । ডাক্তার হিসেবে আমি প্রস্রাব এবং বীর্যের কমপোনেন্ট বা উপকরন গুলো জানি । প্রস্রাব নাপাক পানি আমরা জানি । বীর্যও নাপাক সেটাও জানি । প্রস্রাবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকর জিনিস থাকে । সেজন্য এটা নাপাক । কিন্তু বীর্যে এমন ক্ষতিকর কিছু তো থাকেনা । তাহলে বীর্যটা নাপাক কেনো সেটার কোনো ব্যাখ্যা আমি অনেক রিসার্চ করেও পাইনি ! এটার উত্তর জানা থাকলে প্লিজ একটু জানাবেন ।
আমরা জানি যে অনেক লোকের কবরে আযাব হবে পেশাবে অসাবধানতার কারণে। তাই পেশাবের সময় সাবধানতার অংশ হিসেবে কুলুখ নিয়ে একটু হাটাহাটি করতাম। কিন্তু কয়েকজন উলামায়ে কেরামের মুখে শুনলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উনার জীবনে কখনো কুলুখ নিয়ে হাটাহাটি করেন নি। বিষয়টা কতটুকু সত্য? সত্য হলে পেশাবের পর কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা সুন্নাহ সম্মত?
আস-সালামু আ’লায়কুম, শাইখ। আমার প্রশ্ন -ইস্তিঞ্জার জন্য কমপক্ষে কি তিনটি ঢিলা ব্যবহার করা আবশ্যক?
আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ, আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমার প্রস্রাব নিয়ে সমস্যা আছে। সাধারণত রাসূলের হুকুম মোতাবেক প্রস্রাব করার পর যদি 40 কদম দেয়া হয় ছেলেদের ক্ষেত্রে তবে সব প্রস্রাব নির্গত হয়ে যায়। কিন্তু আমি যদি 40 কদম এর জায়গায় 200 – 300 কদম ও দিই, প্রায় আট দশ মিনিট ধরে হাঁটতে থাকি , এরপর টিস্যু ব্যবহার করে ফেলে দেই। পরক্ষণে যদি আরও ২০ মিনিট পর আরও হাঁটাহাঁটি করার পর আবার চেক করি, তো আমার এক ফোঁটা প্রস্রাব চলে আসতে দেখা যায়। ইদানিং এই সমস্যাটা আমার আরো বেশি বেড়ে গিয়েছে। এখন যদি আমি প্রস্রাব করার পর প্রায় 20 মিনিট
মহিলাদের মুখের মধ্যে ঠোটের উপরে যে সমস্ত লোম হয় এগুলা তুলে ফেলানো জায়েজ আছে কিনা।
আমি 2 টা জিনিস গুলিয়ে ফেলেছি। যদি মেঝেতে প্রস্রাবের মতো কিছু অপবিত্রতা থাকে (টাইলস করা) তাহলে এক বালতি পানি ঢালতে হবে। কিন্তু পানির উপর নাপাক পড়ার ক্ষেত্রে এক মত আছে যে, পানি ২ কুল্লার কম হলে তা নাপাক হয়ে যায়। তাহলে এক বালতি পানি ব্যবহার করলে কিভাবে মেঝে থেকে অপবিত্রতা চলে যায় তাদের মতে যারা বলেন পানিতে নাপাকি মিশ্রিত হলে এবং ঐ পানির পরিমান ২ কুল্লার কম হলে তা নাপাক থাকে? আমি এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না। আমরা জানি যে কোনো অপবিত্রতা থাকলে আমরা ১/২ বালতি পানি ঢালতে পারি, অপবিত্রতা পানিতে মিশে যায় এবং তা চলে যায়। কিন্তু কোন
আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ। আমার এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করুন দয়া করে। আমার বয়স ২৪ বছর।আমার মনে কোনো কুচিন্তা,খারাপ উদ্দেশ্য না থাকলেও মেয়ে মানুষ আমার সামনে পড়লেই আমার যৌন অনুভূতি হয় যা আমি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এছাড়াও সময়ে অসময়ে লিঙ্গে অনুভূতি চলে আসে। আর আমার সমস্যা হলো যত সামান্য অনুভূতিই হোক না কেনো আমার মোযি/লিঙ্গের মাথায় সামান্য পানি নির্গত হয়। এজন্য আমার পূর্ণ ইচ্ছা থাকলেও আমি নামাজ পরতে পারি না।সারাদিনে কতবার আমি কাপড়ে পানি ছিঁটা দিবো আর লিঙ্গ ও লিঙ্গের আশপাশে ধৌত করবো এসব ভাবলেই আমার কান্না পায়।আবার নামাজ পরতে পারছি না দেখেও সারাক্ষণ ভয় আর হতাশা
আস-সালামু আ’লায়কুম, শাইখ। যদি আমার শরীরে কলমের কালি লেগে থাকে বা তেল লেগে থাকে এবং ওযু করার পরেও তা থেকে যায় তবে কী আমার ওযু হবে?
কাপড়ে কোন নাপাকি বস্তু লাগার পর উত্তমরূপে ধৌত করার পরও যদি দাগ মুছে না যায় তাহলে ঐ কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়া যাবে কি ? – মো: সিদ্দুকুর রহমান, বেনাপোল, যশোর ।
আসসালামুআলাইকুম আমার একটা সমস্যা হল প্রসাব ভালভাবে করার পর টিস্যু ব্যবহার করলেও প্রায় সময়েই পেটে চাপ লাগলে অথবা সিজদাহ্ তে গেলে ফোটা ফোটা প্রাসাব বের হয় অনেক সময় আবার হয়না আবার কিছুদিন পর এই সমস্যা দেখা দেয়, অনেক ক্ষেত্রে অল্প চাপ লাগলেই বের হয় তাই আমার জন্য পোষাক পাক রাখাও কঠিন হয়ে যায়,সমস্যাটা বেশি হয় প্রসাব করে সাথে সাথে নামাজ পড়লে সিজদায় গেলে। এক্ষেত্রে হয় আমার উজু ভেঙে যায় আবার আমার পোষাক ও নাপাক হয়ে যায়, প্রসাব করে নামাজে আসলে প্রায়ই নামাজরত অবস্থায় এমনটা ঘটছে আমার মনে হয়, তাছাড়া এমনিতেও বের হয় অনেক সময়ই তাই আমার পোষাক পাক রাখাও
ফরয গোসল করার এক ঘন্টা পর প্রস্রাব করেছি এর পর যদি প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হয় তাহলে কি গোসল ফরয হবে?
১. আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্নটি হলো-আমার আন্ডার গার্মেন্টস পস্রাব বা মোযির কারণে অপবিত্র ছিল। তার উপর প্যান্ট পড়া ছিল। এখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপরের প্যান্টে লেগে (উল্লেখ্য এমন ছিঁটায় প্যান্ট ভিজে না বা ভিজলেও এমন পরিমাণ যা নিংড়ালে কিছু বের হয় না) সেখান থেকে যদি সূচাগ্র পরিমাণ পানির ছিঁটা পায়ে বা জুতায় পড়ে তবে কী আমার পা বা জুতা নাপাক হবে?উল্লেখ্য যে, উপরের প্যান্টটি নাপাক ছিলো না। ২. আমি ওয়েবসাইট থেকে জেনেছিলাম- নাপাক ভেজা কাপড়ে পবিত্র শুকনা কাপড় লেগে পবিত্র কাপড়টি নাপাক হতে হলে পবিত্র শুকনা কাপড়টিতে নাপাকি লেগে এমনভাবে ভিজতে হয় যেন নিংড়ালে নাপাকি বের হয়। অনুগ্রহ করে
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন দুইটি হলঃ ১.মোযি নির্গত হয়ে তা উরুতে লাগার পর(কোথায় লেগেছে নির্দিষ্টভাবে জানা নেই)সেখানে সামান্য পরিমাণ ভেজা ট্রাউজার এর কিছু অংশ লেগে তা কী নাপাক হবে?অতঃপর সেই পরিমাণ ভেজা ট্রাউজারে ভেজা হাত লেগে কী হাত নাপাক হবে? ২.সাহাল বিন হুনাইফ (রা.) ঘনঘন মযি বের হওয়া নিয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ছিলেন। তখন রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন-এক্ষেত্রে তোমার জন্য ওযুই যথেষ্ট। অতঃপর কাপড়ে লাগার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে রাসূল (সা.) বলেন পানি ছিঁটা দিতে। এই হাদীস থেকে কী বলা যায় মোযি লাগার দ্বারা শরীরের ওই অংশ ধৌত করার প্রয়োজন হয় না? আমি শুনেছি হাম্বলী মাযহাব এই হাদীসের
আমি মেসে থাকি। তো একদিন মেসে রান্না করার জন্য মুরগী নিয়ে আসা হয়। সাধারণত মুরগী যেখানে জবাই ও চামড়া ছিলানো হয়, সেখানে অনেকগুলো জবাইকৃত মুরগীর প্রবাহিত রক্তের সাথে সাথে মুরগীর দেহ মাখামাখি হয়। আর সেই মুরগীর গলায়, মাথায় প্রবাহিত রক্তের কিছুটা থেকে যায় ও জমে যায়। তো এরকম একটি মুরগী মেসে নিয়ে আসা হয়, ধোয়া-কাটার দায়িত্ব ছিল আমার। তো আমি একটি পাতিলে করে মুরগীটির মাথা, গলায় জমে থাকা রক্ত ও দেহের রক্ত পানি দিয়ে ধুই ও পাতিলের পানি বেসিনে ফেলি। এভাবে দুইবার করি। (তখনো মুরগীর দেহে প্রবাহিত নয় এমন রক্ত জমে ছিল)। তৃতীয়বার ধুয়ে পানি ফেলার সময় বেসিন থেকে
আসসালামু আলাইকুম। ১। হাই কমোড(ইংলিশ টয়লেটও বলা হয়) ব্যব-হারের ক্ষেত্রে শরীয়তের কোন বিধি নিষেধ আছে কি? আমি দেশের বাহিরে থাকি, আর আমদের বাসায় হাই কমোড ছাড়া নরমাল প্যান (সাধারন কমোড) নাই। এক্ষেত্রে দেখা যায যে অলসতাবশত আর বিরক্তির কারনে সাধারনত বসে শুধু প্রস্রাব করার জন্য বসাটা একটু মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আর প্রস্রাব পায়খানা শেষে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যখন পানি ব্যবহার করা হয় তখন কমোডে থাকা ময়লা পানি মিশ্রিত পানির ছিটকা নিচ থেকে আবার উপরে নিজের শরীরে আসার সম্ভাবনা দেখা যায়। অভার অল পূর্ন পবিত্রতার ব্যপারে একপ্রকার সন্দেহ থেকেই যায়। ২। এক্ষেত্রে অনুগ্রহপূর্বক আমার জন্য কোন পরামর্শ দিবেন কি?
আস-সালামু আলাইকুম। গোসল ফরজ অবস্থায় কি রেকর্ড করা কুরআন তেলওয়াত শুনতে পারব?
আমার প্রশ্নটি পবিত্রতা সংক্রান্ত। ইস্তেন্জার সময় কাপড়ে পশ্রাব অথবা সপ্নদোষের দরুন বীর্য কাপড়ে লাগলে সম্পুর্ন কাপড় নাকি শুধু ওই স্থানটুকু ধৌত করতে হবে? আর যদি পশ্রাব অথবা বীর্য শুকিয়ে যায় তবে কী কাপড় পবিত্র হয়ে গেল অর্থাৎ আর ধৌত করার প্রয়োজন নেই? এবং ফরজ গোসলের সময় কী কাপড় পরিধান করে গোসল করা ফরজ? যদি চার দেয়ালে আবৃত বাথরুম হয়ে থাকে তবেও কি কাপড় না পড়লে ফরজ গোসল হবে না? সম্ভব হলে রেফারেন্স সহযোগে দিন** ধন্যবাদ
আসসালামু আলাইকুম। এক দিরহাম পরিমাণ নাপাকি মাফ বলে যে কথাটি প্রচলিত তা দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়?তা একেবারেই মাফ?নাকি পরবর্তীতে তা কোনভাবে পানি বা ঘাম লেগে ছড়িয়ে গেলে নাপাক হয়ে যাবে?
আমি একজন ছাত্র। আমার শুচিবায়ু সন্দেহ করা রোগ আছে সেটা আমি জানিনা। কিন্তু আমি গোসল করলে মনে হয় গোসল ঠিক ভাবে হলো না। আবার পেশাব করলে ধারণা হয় কাপড়ে বা শরীরে পেশাব লেগে আছে কি না। । কারো শরীরে হাত দিলে মনে হয় তার শরীরে নাপাকি লেগে আছে কি না। মরিচা কি নাপাকি? কারণ এইজন্য আমি দরজা ও তালাচাবি তে হাত দিতে পারি না। এক কথায় নাপাকির বিষয়ে খুব সন্দেহ কাজ করে। আবার মসজিদে নামায পড়তে গেলে মনে হয় মসজিদের বিছানায় কোন নাপাকি লেগে আছে কি না?দয়া করে কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী উত্তর দিবেন।
আসসালামু আলাইকুম। ১) যদি সতর্কতাবশঃত ধরে নেই যে, লজ্জাস্থানে (অনাবৃত) অনিচ্ছাকৃত হাত লেগে গেলে উযু ভাঙ্গে সেক্ষেত্রে লজ্জাস্থান বলতে কোন অঙ্গগুলোকে বোঝানো হয়-নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত পুরো অংশটুকুই নাকি সুনির্দিষ্ট কিছু অঙ্গ যেমনঃ পুরুসাঙ্গ, পায়ুপথ, স্ত্রী যৌনাঙ্গ ইত্যাদি-বিষয়টির দলিলসহ ব্যাখ্যা পেলে উপকৃত হবো। ২) সুতরাবিহীন অবস্থায় সালাতরত ব্যক্তির সামনে যাওয়ার কোন ন্যূনতম দূরত্ব কী আছে? থাকলে তা কত দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।
আমি আগে জানতাম না পেশাব পরিষ্কার করতে পানি ঢালতে হয়৷ আর আমরা সবসময় বাচ্চারা ঘরে পেশাব করলে ঘর মুছে ফেলেছি। একই ন্যাকরা দিয়ে পুরা ঘর মুছা হয়। এখন ঘরের মেঝেতে খালি ভিজা পায়ে হেটে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে? আর ভিজা কাপড় মেঝেতে পরলে কি কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে?
আসসালামু আলাইকুম,, কোন অসুস্থ বৃদ্ধা মহিলা হাঁটাচলায় সমস্যা, যার প্রস্রাব আসলে যেতে যেতে বের হয়ে যায়, ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে এক্ষেত্রে কি তায়াম্মুম করা যাবে ও পবিত্র হওয়ার বিধান কী? অসুস্থকে অন্য কেউ ওযু করিয়ে দেওয়ার বিধান আছে কি?