আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বপ্নদোষ হলে আমি স্বাভাবিক ভাবে শুধু বীর্য টকু ধুয়ে ফেলে দিয়ে গোসলের নিয়ত করে ওযু করে গোসল করে ফেলি। এতে কি আমার গোসল আদায় হয়ে যাবে? আর কি কিছু করা প্রয়োজন ছিল?
আমি 2 টা জিনিস গুলিয়ে ফেলেছি। যদি মেঝেতে প্রস্রাবের মতো কিছু অপবিত্রতা থাকে (টাইলস করা) তাহলে এক বালতি পানি ঢালতে হবে। কিন্তু পানির উপর নাপাক পড়ার ক্ষেত্রে এক মত আছে যে, পানি ২ কুল্লার কম হলে তা নাপাক হয়ে যায়। তাহলে এক বালতি পানি ব্যবহার করলে কিভাবে মেঝে থেকে অপবিত্রতা চলে যায় তাদের মতে যারা বলেন পানিতে নাপাকি মিশ্রিত হলে এবং ঐ পানির পরিমান ২ কুল্লার কম হলে তা নাপাক থাকে? আমি এই ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না। আমরা জানি যে কোনো অপবিত্রতা থাকলে আমরা ১/২ বালতি পানি ঢালতে পারি, অপবিত্রতা পানিতে মিশে যায় এবং তা চলে যায়। কিন্তু কোন কোন আলেম বলেন, পানি যদি 2 কুল্লার কম হয় তাহলে নাপাক মিশ্রিত পানি নাপাক। কিন্তু 2 কুল্লা পানি অনেক পানি। তাহলে তারা কিভাবে এমন অপবিত্রতা শুদ্ধ করবে?
আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ। আমার এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করুন দয়া করে। আমার বয়স ২৪ বছর।আমার মনে কোনো কুচিন্তা,খারাপ উদ্দেশ্য না থাকলেও মেয়ে মানুষ আমার সামনে পড়লেই আমার যৌন অনুভূতি হয় যা আমি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এছাড়াও সময়ে অসময়ে লিঙ্গে অনুভূতি চলে আসে।আর আমার সমস্যা হলো যত সামান্য অনুভূতিই হোক না কেনো আমার মোযি/লিঙ্গের মাথায় সামান্য পানি নির্গত হয়।এজন্য আমার পূর্ণ ইচ্ছা থাকলেও আমি নামাজ পরতে পারি না।সারাদিনে কতবার আমি কাপড়ে পানি ছিঁটা দিবো আর লিঙ্গ ও লিঙ্গের আশপাশে ধৌত করবো এসব ভাবলেই আমার কান্না পায়।আবার নামাজ পরতে পারছি না দেখেও সারাক্ষণ ভয় আর হতাশা কাজ করে।আমি এখন কী করবো আমাকে বলুন দয়া করে।
কাপড়ে কোন নাপাকি বস্তু লাগার পর উত্তমরূপে ধৌত করার পরও যদি দাগ মুছে না যায় তাহলে ঐ কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়া যাবে কি ? - মো: সিদ্দুকুর রহমান, বেনাপোল, যশোর ।
আসসালামুআলাইকুমআমার একটা সমস্যা হল প্রসাব ভালভাবে করার পর টিস্যু ব্যবহার করলেও প্রায় সময়েই পেটে চাপ লাগলে অথবা সিজদাহ্ তে গেলে ফোটা ফোটা প্রাসাব বের হয় অনেক সময় আবার হয়না আবার কিছুদিন পর এই সমস্যা দেখা দেয়,অনেক ক্ষেত্রে অল্প চাপ লাগলেই বের হয় তাই আমার জন্য পোষাক পাক রাখাও কঠিন হয়ে যায়,সমস্যাটা বেশি হয় প্রসাব করে সাথে সাথে নামাজ পড়লে সিজদায় গেলে।এক্ষেত্রে হয় আমার উজু ভেঙে যায় আবার আমার পোষাক ও নাপাক হয়ে যায়, প্রসাব করে নামাজে আসলে প্রায়ই নামাজরত অবস্থায় এমনটা ঘটছে আমার মনে হয়, তাছাড়া এমনিতেও বের হয় অনেক সময়ই তাই আমার পোষাক পাক রাখাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে আমি কি করব?আমার এটা রোগ ধরে এমন হলেও অই অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাব, এভাবে পোষাক এ প্রসাব লাগলে পাক ধরব নাকি নাপাক?
ঘরে যেসব প্রাণী থাকে যেমন ইদুর, মাকরসা, তেলাপোকা, ইত্যাদি এসব প্রাণীর মলমূত্রাদি কি পাক না নাপাক, আমাদের বাসা চাটাই দিয়ে বোনা এই সব প্রাণী নাকি সিউর না প্রায় প্রতিদিনই বাসার চেয়ার টেবিল ইত্যাদি জায়গায় মলমূত্রাদি ত্যাগ করে, তাতে আমার আম্মু তা ভেজা কাপড় দিয়ে তা মুছে নেয়, তা কি পবিত্র হবে, এসব প্রাণীর মলমূত্রাদি থেকে বেচে থাকা আমার পক্ষে খুবই কঠিন, এটা নিয়ে খুবই টেনশনে আছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তরটা দিবেন?
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। ফজরের সময় ফরজ গোসলে ভুলবশত নাকে পানি দেওয়া হয় নাই, এই ভাবে আমি নামাজ আদায় করি এবং নামাজের মধ্যে তা মনে পড়ে। এখন কি আমার নামাজ হবে? না হলে আমি কিভাবে পবিত্রা অর্জন করব এবং এই নামাজ ও পরের নামাজ গুলো কি ভাবে আদায় করব?
স্বাভাবিক অবস্থায় আমার লিঙ্গ ছোট। যার কারণে প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় বসে প্রস্রাব করতে গেলে লিঙ্গ বেশি বের হয়না, প্রস্রাব পেন্টে লেগে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে, মাঝে মাঝে লেগেও যায়। পানি নিতেও সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে দাড়িয়ে প্রস্রাব করা যাবে? বদ্ধ বাথরুম হলে সমস্যা হয়না, অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করি। কোথাও ভ্রমণের সময় সমস্যাটা বেশি হয়।
আমি আগে জানতাম না পেশাব পরিষ্কার করতে পানি ঢালতে হয়৷ আর আমরা সবসময় বাচ্চারা ঘরে পেশাব করলে ঘর মুছে ফেলেছি। একই ন্যাকরা দিয়ে পুরা ঘর মুছা হয়। এখন ঘরের মেঝেতে খালি ভিজা পায়ে হেটে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে? আর ভিজা কাপড় মেঝেতে পরলে কি কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে?
আসসালমু আলাইকুম!
একটি গুরত্ব পূর্ন প্রশ্ন ছিল । আচ্ছা ওযুর সময় যে সকল অঙ্গ ধৌত করা ফরজ সে সব অঙ্গ চুল পরিমান শুকনো থাকলে উযূ হবে না। আচ্ছা মাথা মাসেহ করার সময় (একবার)ত পুরো চুল ভিজেনা এমন টা সন্দেহ হয়। তাহলে কি উযূ হবে না?
মাথা মাসেহ বলতে কি বুঝায়?
নাকের শুকনো ময়লা বা ভিজা শ্লেষ্মা কি নাপাক। আমার নানু তার নাকের ভিজা শ্লেষ্মা এবং শুকনো ময়লাগুলো আমার পড়ার টেবিল, বিছানার চাদর এবং ঘরের সবজায়গায়ই লাগায়। তিনি নাকের শ্লেষ্মা বা শুকনো ময়লা ধরে যেখানেই হাত মুছে সে জায়গাটিই আমার কাছে অপবিত্র মনে হয়।এখন আমার কাছে ঘরের ফ্রিজ থেকে শুরু করে বেশিরভাগ জিনিসেই নাপাক লেগে আছে মনে হয়। কোনো কিছুতে হাত লাগলেই হাত ধুয়ে ফেলি একটু পরপরই হাত ধোয়া লাগে।এই সমস্যার জন্য আমি খুবই কষ্টে আছি। দয়া করে আমার এ সমস্যা সমাধানের উপায় বলুন।
আসসালামু আলাইকুম. আমার প্রশ্নটি হলো,
পুরুষ দের জন্য যেমন ওযু করার সময় (প্রয়োজনে) মোজার উপর দিয়ে পা মাসেহ করার বেপারে একটি মাসআলা আছে, ঠিক তেমনি মেয়েদের বেপারে কি অজুর ক্ষেত্রে এমন কোনো মাসআলা আছে? মোজা এবং হিজাব এর উপর দিয়ে মাথা মাসেহ করা যাবে কি? এই বিষয়টি বিস্তারিত জানালে উপককৃত হবো.
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একজন ছাত্র,আমার অনেক সময় শিক্ষা করার জন্য মেয়েদের বিষয় পড়তে হয়। আবার অনেক সময় মেয়েদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়ে। আবার কেউ বিবাহ নিয়ে লেকচার দিলে,বা মেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যাপার নিয়ে লেকচার দিলেই দেখা যায় আমার মযি বের হয়। দিনে কয়েকবার মযি বের হয়। এমতো অবস্থায় আমি কি করব?
একজন মানুষের তো এতোবার কাপড় পাল্টানো সম্ভব হয়না। কাপড় ও থাকে না এতো গুলো।
টাইলসের মেঝেতে পানি পড়লে শুকনো নাপাক কাপড় দিয়ে মুছলে কি মেঝেও নাপাক হয়ে যাবে? নাপাক পানি যদি ঘরের মেঝেতে অনেক জায়গায় পড়ে ভেজা কাপড় দিয়ে পুরো ঘরের মেঝে মুছলেও তো ঘর ভেজা থাকে। তাহলে কি মেঝে পাক হবে?
আসসালামুয়ালাইকুম, প্রস্রাব করার পর যথাসাধ্য পবিত্র হওয়ার পরও কিছু ছিটাফোটা যদি শরীরে লাগে, যা খালি চোখে দেখা যায় না, এমন অবস্থায় কি পূর্ণ গোসল করতে হবে নাকি শুধু কোমড় পর্যন্ত ধুয়ে নিলে হবে?
আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন - আমরা দুইজন ফরয গোসল করছিলাম গোসলখানায়। বালতিতে পানি ছিলো। দুইজনেই পানি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম। তাড়াহুড়ো করছিলাম। আমি বলছিলাম ঃ আপনি ছাড়েন, আমি নিই। তিনি বলছিলেন ঃ আপনি ছাড়েন। আমি নিই। এ বিবরণে বলা হয়েছে তখন উভয়ের পরনে কপড় ছিলো না। এই হাদীসটির শেষের লাইনটুকু সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। এই কথাটি কি সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত যে রাসূল(সঃ) ও আয়িশা ( রাযিয়াল্লাহু আনহা) গোসলখানায় বিবস্ত্র ছিলেন?
আসসালামুয়ালাইকুম আমার প্রশ্ন হলো ঃ
১. সাবানের মধ্যে যদি তরল নাপাকি তথা পেশাব অথবা বীর্জ লেগে যায় তাহলে পবিত্র করার উপায় কি?
২. করোনা সমস্যার জন্য অনেক সময় তরল হ্যন্ড স্যনিটাইজার ব্যবহার করা হয় মোবাইল অথবা অন্যান্যও জিনিস পরিস্কার করার জন্য। এতে করে কি মোবাইল আবার পানি দিয়া মুছে ফেলতে হয় কারন হ্যন্ড স্যনিটাইজার এ কিছুটা এলকোহল থাকে?