As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর

আস-সালামু আলাইকুম। রাগের মাথায় একটি ঈমান বিধ্বংসী বাক্য আমার মুখ থেকে বের হয়ে যায়। যদিও বাক্যটির সাথে আমি একমত নই এবং ওই কথার উপর কখনোই আমল করিনা৷ মুখ ফসকে ভূলে এরকম বের হয়ে গেছে। এতে কি আমার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে? দয়াকরে জানাবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
আমার চার জনের পরিবার, আমি একা ইনকাম করি, অন্য কোন ইনকাম নেই, আমার কর্মের কারণে রোজ এক দুই ওয়াক্ত নামাজ কাজা হচ্ছে, আমার কি কাজ ছেড়ে দেওয়া উচিত? এখনও আমার এক লাখ টাকা ঋন আছে, আমি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছি ২৩ সালে কাজ ছেড়ে দেব, এমত অবস্থায় আমার কী করা উচিত? 
আমি নামাজে দাঁড়িয়ে মাঝ মাঝে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কে নিয়ে অনুমান বা কল্পনা করি এমতাবস্থায় আমার নামাজ হবে কি?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বেশ কয়েক মাস হলো আল্লাহ্‌ তা’আলার অশেষ রহমতে আমি দ্বীনের পথে ফিরে আসার জন্য হিদায়েত পাই আলহামদুলিল্লাহ্‌। এবং আমি প্রতিনিয়ত আল্লাহ কাছে দু’আ করি যে হিদায়েত বাড়িয়ে দেন। আমি ব্যাচলর ছেলে ২২ বছর বয়স অনেক আগে থেকে মেসে থাকি। দ্বীনে ফেরার পর আমার বাজে বদ অভ্যাস গুলো আমি বাদ দিয়েছি সম্পূর্ণ, আমার পরিবর্তন দেখে মেসের প্রায় সব ভাইয়াদের মধ্য কিছু প্রভাব ফেলে এবং আমারও কষ্ট হয়। আমি খারাপ আচরণ করি না, তারা আমাকে দেখে হুজুর মাওলানা বলে সেটা আমার অনেক খারাপ লাগে, তবে সাধারণ বিষয় ভেবে চুপ করে থাকি। তাদের আড্ডায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না বলে আমি বান্দায় বসে থেকে হাদিস শুনি বা পড়ি। যখন বারান্দা থেকে আমি রুমে যাই সবাই লম্বা একটা সালাম দিয়ে বলে মাওলানা সাহেব তাহাজ্জুদ পড়া হলো?? তখন বাজে প্রায় রাত ১০টা। আবার কখনো কখনো হজ্জ এর কথাও বলে বসে। এটা বলে যে তারা গুনাহ করছে সেটা বুঝতেছি। তাদের মধ্য সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে আমার সব থেকে কাছের বন্ধুর। কেউ আমার কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে আমি বারান্দায় তাহাজ্জদ করছি এ সকল কথা বলে দেখে মেসে সবাই প্রাই এই ধরনের কথা বলে। তাকে আমি দ্বীনের কথা বলি সে চুপ করে থাকে এবং শেষে বলে আমাকে সময় দে যখন আমি মউতের কথা স্মরণ করে দেই তখন বলে আমাকে একটা flow এর মাধ্যমে আসতে দে। flow এর মাধ্যমে আসতে আসতে সে অন্ধকারে চলে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আমাকে কুটক্তি করছে এইসব কথা গুলো অন্যদের কেও বলে বেড়াচ্ছে। আমাদের মেসে প্রচুর ফেতনাহ এর ছোড়া ছড়ি। এখানে নামায পড়াও অনেক কঠিন কারণ এক রুমে ৩জন থাকা পাশের রুমের ভাই রাও এসে আমাদের রুমেই আড্ডা দেন ১-২টা পর্যন্ত এর পর তাহাজ্জুদ পড়া হয় না। এর আগে কোনো কারণে এশা মিস হয়ে গেলে বাসায় যখন পড়ি তখন কেউ না কেউ দেখে বলবে যে দেখো, দেখে কিছু শিখ, এটা বলে চলে যায় অথচ তিনি নিজেই নামায পড়েন না। এই সকলের মাঝে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতেছে। আমার বন্ধু তার কারণে আমি অনেক কষ্ট পাচ্ছি, যেমন সে কাপড় চেঞ্জ করে আমার বিছানায় ফেলে বাহিরে চলে যায়, বলার পর বন্ধ হয়েছে আবার শুরু হয়ে যায়। আমি চাইনা আমার কারণে তারা কষ্ট পাক, আমি আল্লাহ্‌ কাছে দু’আ করি মেসের সবাইকে যেন আল্লাহ্‌ হিদায়েত দান করুন। তাদের মাঝে থাকা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মেসে আমার কিছু বকেয়া আছে যার কারণে মেস ছাড়তেও পারছি না। এমন সময়ে আমি কি করতে পারি?? এত সকল ফেতনাহ এর মাঝে আমি যদি আবার হারিয়ে যাই এ ভয় পাচ্ছি আমি। আমি এ জন্য কোন আমলটি করতে পারি। আর এই মুহুর্তে আমার কি করণীয় তা যদি বলতেন।
হানাফী মাজহাব এর বই তে আল ইমদাদ রিশালা তে আর হাসস্ত বাহিস্ত তে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আশরাফ আলী রসুলুল্লাহ লা ইল্লাল্লাহ চিস্তি রাসোলুল্লাহ লেখা রয়েছে তো আমার প্রশ্ন কাদিয়ানি রা তাহলে কাফির হিসেবে ঘোষিত হলো কেন?
একজন মহিলা আমাদের গাছের ফুল নিয়ে যায় পূজার জন্য। বিষয়টি আমার ভালো লাগে না। এ সম্পর্কে আমার করণীয় কি?
Assalamualaykum. শায়েখ আমি ভালো হক্কানি আলেম এর সংস্পর্শে থেকে কিছু শিখতে চাই। যেমন আকিদা, ঈমানের ৩ টি মূলনীতি ইত্যাদি। কিন্ত আমি কোথায় পাব এমন শায়েখ। আমাদের বাসাতে শিরক কুসংস্কার এ লিপ্ত আছে। এদের সহবতে থাকলে আমি ভালো হতে পারব না। দয়া করে আমাকে কিছু পরামর্শ দিবেন। আপনাদের আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট বা অন্য কোন কিছু র সন্ধান দিতে পারবেন। যাতে আমি ঈমান আকিদা ঠিক করে ভালো মুসলিম হতে পারি। মানুষ তার বন্ধুর দ্বিনে বেড়ে উঠে। তাহলে শিরক কারির সাথে থাকলে আমার কি হবে। আশা করি আমার অবস্থা বিবেচনা করে পরামর্শ দিবেন।দের
আস-সালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন, যদি কেউ পীরের মুরিদ না হয় তাহলে সে জান্নাতে যাবে না?
Assalamualaykum Shykh. আমি একটা ঈমানি বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর জানতে চাচ্ছি। রাসুল সা তওহিদ এর বাণী সবার কাছে পৌছিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে একজন প্রশ্ন করেছে তিনি নারীদের কিভাবে জাহেলি যুগে দাওয়াত দিয়েছেন? তখন কি পর্দা ব্যাবস্থা ছিল? তিনি কি পর্দার আড়ালে থেকে দাওয়াত দিতেন? আমরা জানি রাসুল সা হলেন নিস্পাপ। তাহলে এমন সন্দেহ কি ইমান ভঙ্গ করবে? আমাকে বুঝিয়ে বলবেন যাতে আমি এই সংশয় থেকে বের হতে পারি । ২। অনেক হাদিস এ দেখি যে রাসুল সাঃ এর সাহাবিরা তাকে বলেছেন আমার বাবা মা আপনার জন্য কুরবানির হোক।এর ব্যখ্যা কি?
Assalamualaykum Abdullah Jahangir sir er islami aqida boi er 450 page ki ektu vul ache? এখানে বলা হয়েছে যে ফিরিশতার কাছে অলৌকিক কিছু চাওয়া জায়েজ।কিন্তু আরবের মুশরিক রা তো এরকম আল্লাহর পরিবর্তে ফিরিশতা বা বুযুর্গ দের ডেকে ইবাদত এ শিরক করেছে। তাহলে তা শিরক না হয়ে যায়েজ কিভাবে হয়? কেউ বুঝিয়ে দিলে উপক্রিত হতাম
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমি একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। আমার পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি,কিন্তু নামাজে নানা ধরনের কুমন্ত্রণা,বাজে ধারণা আসে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় জানালে উপকৃত হবো।
আস-সালামু আলাইকুম। ১। আমার বাবার উপার্জিত টাকা হারাম। আমি বলতে গেলে বিভিন্ন কুফরি কথা বলে।ইসলামিক রাস্ট্র না হলে নামায পড়া লাগে না। নাউজুবিল্লাহ। হালাল ইনকাম করা লাগে না। আমাকেও হালাল ইনকাম করতে দেয় না। ছোটো খাট কাজ থেকে বের হতে দেয় না। এছাড়া মোবাইলে অশ্লিল ভিডিও দেখে। কুফরিতে সন্তস্ট থাকাও তো কুফরি। এখন আমি এই পরিবেশ এ মিশে তাদের মতো হয়ে যাওয়ার আশংখা করছি। মনে হচ্ছে আমারও ইমান চলে গেছে। এখন আমার কি করা উচিত। ২। কাউকে কাফের মুরতাদ বলার গুনাহ কি ক্ষমা হয়?
একজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্যাক্তি বলেছেনঃ ধর্ম ইন্দ্রিয় সাধনার পরিপন্থি। ধার্মিকেরা মতোবাদীর মতই নিষ্টুর এবং আত্মকেন্দ্রিক। ভয় এবং পুরুস্কারের লোভ ধার্মিককে পরিচালিত করে। একজন সংস্কৃতিবান ব্যাক্তি মুক্তচিন্তার হয় এবং মহৎ ভাবে সুন্দর ভাবে বেচে থাকাই তার ধর্ম। আমি জানতে চায় – আমি কোন বিষয় গোলো ফ্লো করব এবং এই কথা গুলোর উত্তর কি হবে?
আস-সালামু আলাইকুম, একজন মুসলিম হিসেবে সব সময় মনে করি জন্মদিন পালন করা ইসলামি শরীয়ত বিরোধী কাজ । সব জায়গায় আমি এটা মেনে চলি, কিন্তু অফিস এ মাসিক কারো না কারো জন্মদিন উপলক্ষ থাকে এবং সেখানে ১০০/২০০/৩০০ করে সবার থেকে টাকা তুলে খাবার ব্যাবস্থা করা হয় । আমি সেই খাবার ও সেখানে উপস্থিতি কাজের উছিলায় এড়াতে পারলেও, টাকা আমাকে দিতেই হয় । এক্ষেএে আমার করনীয় কি । শুধু এভাবে টাকা দিলেও কি আমি গুনাহগার হবো? আশা করি জানাবেন ।
আস-সালামু আলাইকুম, আমার একটি প্রশ্ন ছিল। হাদীসে আছে জিনার সময় ঈমান উঠিয়ে নেওয়া হয় (এইখানে অবৈধ যৌণ সম্পর্ক বুঝাচ্ছে)
আস সালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ আমি ২/৩ বছর যাবৎ প্রায় নিয়মিতই নামাজ পড়ি।আমার বয়স ২৬/২৭।আমি একটি কোম্পানিতে ২০ টাকা বেতনের চাকরি করি ।বাড়িতে আলাদা ঘর না থাকায় বিয়া করতে পারছিনা।এখন আমি গোপন পাপ থেকে নিজেকে রাখতে পারছিনা। একই সাথে মাঝে মাঝে আমি নিজের ঈমান কে প্রশ্ন বিদ্দ করে ফেলি। নিজে নিজেই আল্লাহ এর অস্তিত্ব খুঁজে নিজে কে বুঝাই আল্লাহ আছেন। পরকাল আছেন। আমাকে একজন প্রকৃত মুমিন হতে করণীয় জানাবেন?
আমি কথাবার্তা বলার সময় জল, স্নান(সংস্কৃত) সহ বেশ কিছু বাংলা শব্দ ব্যবহার করি যা বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসার কারণেই বলে থাকি,কিন্তু তা আপাত দৃষ্টিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায় আর নবী (সঃ) বলেছেন তোমরা অন্য সম্প্রদায়ের অনুকরণ করো না। এখন ঐ বাংলা শব্দ গুলো ব্যবহার করলে ঈমানের কোন ক্ষতি হবে কি?
আসসালামু আলাইকুম, আমি হানাফি মাজহাবের। আমি শুনেছি যে, ইমান কাকে বলে? এই বিষয় নিয়ে অন্যান্য মাজহাবের সাথে হানাফি মাজহাবের কিছুটা পার্থক্য আছে। আমি এখনো আরবি শিখি নাই। তাই বলবেন, হানাফি মাজহাব অনুযায়ী অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও তদানুসারে আমল করাকে কি ইমান বলে? নাকি শুধু অন্তরে বিশ্বাস করাকে ইমান বলে?
আসসালামুলাইকুম। প্রশ্ন:আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে বলতে দেখলাম মহান আল্লাহর মানুষের মত ঘুম,তন্দ্রা,আহার ও হাঁটার প্রয়োজন হয়না। তাই হাঁটার বিষয়টা নিয়ে মনে প্রশ্ন আসলো। যদিও আমরা জানি আল্লাহর কোনো কিছু প্রয়োজন হয় না। কিন্ত আমরা কি বলতে পারবো উনি হাঁটেন কি হাঁটেন না?এ ব্যাপারে আমাদের ধারনা কি হবে?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে হযরত ইউসুফ আঃ যদি আমরা নবি বলে না স্বীকার করি তাহলে কি আমাদের ঈমান থাকবে?
পূর্নাঙ্গ নামাজের সঠিক নিয়ম এবং নামাজের সকল খুঁটিনাটি দোয়া সহ কোনো বই আছে কি ড.জাহাঙ্গীর স্যারের?
কোন লোক যদি মনে করে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাইব জানেন। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নূরের তৈরী। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সরব জায়গায় আজির নাজীর। এরকম বিশ্বাস যদি কেউ পোষন করে তার পিছনে নামাজ হবে কি?
প্রায় ফেসবক অথবা ইউটিউব ভিডিও তে দেখা যায় ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে সন্দেহ থাকলে ঈমান থাকে না। আমার ইলম দূর্বল, প্রায় কিছু বিষয় নিয়ে অন্য চিন্তা আসে,মনে আসে জান্নাত নাই এসব আরো কিছু,সন্দেহ জাগে কিছু বিষয় নিয়ে সাথে সাথে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি। আবার শয়তান ওয়াসওয়াসা দে আমার ইমান নাই, আর মাঝে মাঝে এমন লাগে আমি নিজেই এসব ভাবতেসি, সন্দেহ করতেসি – আমার লাগে আমার ইমান নাই। -এখন কি কাফির হয়ে যায় এমন হলে? আবার অনেক বাজে চিন্তা আসে যা বলার মত না,বামে থু থু দেই। অনেক ভয়ে থাকি, আমার জন্য দোয়া করবেন। আর এই সমস্যা জন্য কি করা যায়?