আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু, আজ কালকে অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো কাপড় এবং কসমেটিক সামগ্রী। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে মহিলারা ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করে থাকেন এই ব্যবসা কি হালাল নাকি হারাম? যদি এই ব্যবসা হালাল হয় তাহলে,কোন মহিলা যদি ক্যামেরার পিছনে থেকে কথা বলে নিজের চেহারা না দেখিয়ে পণ্যের প্রচার করেন এক্ষেত্রে কী তার পর্দার বরখেলাফ হবে বা গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা?
আস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবা রকাতুহ. শাইখ আমার একটা প্রশ্ন ছিলো। আমাদের এলাকায় একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছিলো সেখানে এলাকার মান্যগণ্য লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবং প্রতি দলের দেওয়া টাকা থেকে পুরো টুর্নামেন্টটি পরিচালনা করা হয়েছিল। আমাকে সেখানে খেলার রান লিখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । আমার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও রান লিখেছিলাম পুরো খেলার। এরপর আমাকে একটি গেঞ্জি এবং কিছু খাবার আর সাথে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা, গেঞ্জি আর খাওয়া কি আমার জন্য হারাম হবে নাকি হালাল হবে?
আস-সালামু আলাইকুম। আমি যে বিল্ডিং এ ভাড়া থাকি, ঐ বিল্ডিং এর মালিক ব্যাঙ্কে (ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ) চাকরি করে। আমি নিশ্চিত না উনি উনার চাকরির টাকা দিয়ে বাড়ি আর জমি করেছেন কিনা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার জন্য ঐ বাড়িতে ভাড়া থাকা জায়েজ হবে কিনা?
এমন অনেক লোক আছে যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে, কিন্তু তারা মোটেও নামাজ পড়ে না বা তারা মাঝেমধ্যে নামাজ পড়ে। তাই আমি যখন মাংসের দোকানে যাব এবং কসাইকে দেখব, কিন্তু আমি জানি না সে নামাজ পড়ে কি না, কী করব? তিনি নামায পড়েন কি না তা আমি কিভাবে নিশ্চিত হব? আমেকে কি নিশ্চিত হতে হবে? আমি কি তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে? আমি কি তার কাছ থেকে কিনতে পারব? আমি খুবই দ্বিধাগ্রস্ত.
আস-সালামু আলাইকুম, যদি আমি কাউকে নিম্নোক্ত কথা গুলো বলি তাহলে কি ভুল হবে? আল্লাহ তায়ালা বললেন তোমরা মুভি দেখো না, কিন্তু আমরা মুভি দেখলাম । অর্থাৎ আমরা আল্লাহকে অসম্মান করলাম । আল্লাহ বললেন তোমরা নাটক দেখো না, কিন্তু আমরা নাটক দেখলাম । অর্থাৎ আমরা আল্লাহকে অসম্মান করলাম । আল্লাহ বললেন তোমরা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করো না , আমরা বাদ্যযন্ত্র যোগকৃত ওয়াজ শুনলাম । অর্থাৎ আমরা আল্লাহকে অসম্মান করলাম । এবার ইকটু চিন্তা করেন আমরা কাকে সম্মান দিচ্ছি না । তিনি কে? প্রধানমন্ত্রী বললো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে । তখন সবাই তা সঠিকভাবে পালন করলো। কিন্তু আল্লাহ বললো পর্দা করতে , কিন্তু অনেকেই পর্দা করছি না ।আল্লাহ বললো নামাজ পড়তে অনেকেই পড়ছি না। তাহলে কি আল্লাহকে অসম্মান করা হচ্ছে না? আমাদের ফলাফল কেমন হবে যদি আল্লাহকে সম্মান না করি?
আস সালামুয়ালাইকুম শাইখ। আমার একটি প্রশ্ন ছিলো। মদ, গাঁজা ও সকল নেশাজাতীয় পন্য ইসলামে হারাম করা হয়েছে কারন এগুলো সেবনে মানুষ নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাই এগুলো হারাম। এখন যদি কেউ এগুলো সেবন করে এবং তার ভারসাম্য ঠিক থাকে, তাহলেও কি এটা হারাম হিসাবে গন্য হবে? ধন্যবাদ।
আমি ইউরোপের একটি দেশে আছি। এখানে মোরগ জবাই করে অমুসলিমরা। অনেক সময় হালাল মোরগ পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমতবস্তায় অপারগ হয়ে অমুসলিমদের জবাই করা মোরগ কি আমি খেতে পারি?
আস-সালামু আলায়কুম, রাষ্টীয়ভাবে নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি ব্যবসা করা কি যায়েজ যেমনঃ পলিথিন যদি যাজেয না হয় হারাম হবে? হারাম জিনিস খেয়ে ইবাদত করলে কি সেটা কোন কাজে লাগবে?
আস-সালামু আলাইকুম, হাতের ক্যারিসমা বা ম্যাজিক দেখানো হয় বিভিন্ন চোখের ধোকা এগুলো দেখানো কি যায়েজ? হিন্দুদের পূজার মেলার মাঠে অনেক মুসলিম দোকান দেয় এই দোকানের আয় কি হালাল হবে? আমাদের বাড়িতে অনেক পুরুষ হুট করেই ঢুকে পরে বাড়ির গেইট যদি লিখে রাখি যে, বিনা অনুমতিতে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ এই রকম লেখা কি ঠিক হবে?
১. বর্তমানে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সিজার করা কি শরীয়তে জায়েজ আছে? ২. একজন মেয়ে পরিপূর্ণ ভাবে পর্দা করে, কিন্তু তাঁর স্তন ক্যান্সার হয়েছে। বাংলাদেশে তো পুরুষ ডাক্তার ছাড়া ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই, তো সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
আস-সালামু আলাইকুম, আমার বাবা আজকে লটারি ধরে একটা জিনিস পেয়েছে, আমি তাকে নিষেধ করলাম যাতে সে আর লটারি না ধরে, যে জিনিসটা পেয়েছে সেটা কি ব্যবহার কি ঠিক হবে? যদি না হয় কি করা যায়? আমার এখানে কি ভূমিকা হবে?
আমার নাম আফসারা তাসনিম। আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। বিশেষ অর্থনৈতিক কারণে আমার একটি চাকুরীর প্রয়োজন। আমি কি কোনো প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে পর্দা মেইনটেইন করে চাকুরী করতে পারব নাকি প্রাইভেট স্কুলের চাকুরীর জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু স্কুলেও ফ্রি-মিক্সিং আছে এবং স্যালারিও কম। আমার টাকাটা খুবি প্রয়োজন। বিশেষ পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করলে চির কৃতজ্ঞ থাকব। জাযাকাল্লহু খয়রন।
আস-সালামু আলাইকুম। অনলাইনে কোনো ওয়েবসাইট থেকে এইভাবে আয় করা জায়েয আছে যে, (সেখানে কোনো একটি কন্টেন্ট এর লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। সেই লিঙ্ক কপি করে গুগলে সার্চ করতে হবে এবং সেখানে প্রদত্ত কোড ওয়েবসাইটিতে সাবমিট করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে যেই কন্টেন্ট থেকে কোড সংগ্রহ করা হবে সেই কন্টেন্টে প্রদর্শন করা যেকোনো একটি এবং এ ক্লিক করতে হবে )। এখানে দেখানো এড গুলোতে তেমন কোনো হারাম জিনিসের এবং মেয়েদের ছবি সংবলিত এড ও তেমন দেখানো হয় না। এটা একধরনের গুগল সার্চ জব বলে ওয়েবসাইটটিতে উল্লেখ আছে।
আসসালামু আলাইকুম। আমি সদ্য দিনে ফেরা একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। কোম্পানি অনলাইন ভিত্তিক আর এখানে ফেসবুক মার্কেটিং হওয়ার কারণে আমাদের বেশিরভাগ কাস্টমার হচ্ছে মেয়ে যাদের সাথে মেসেঞ্জারে মেসেজ এ কথাবার্তা বলতে হয় এবং বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কে অবগত করতে হয় এবং বিভিন্ন সার্ভিস দিতে হয়। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ফোনে তাদের সাথে কথা বলতে হয়। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপনে ক্ষেত্রে মেয়ের ছবি দিয়ে ওয়েবসাইটে উপস্থাপন করা হয়। মেয়ের ছবিসহ প্রোডাক্ট এর ওয়েবসাইটে উপস্থাপন এই কাজটা আমি করি না। আমি শুধু কাস্টমার সাথে যোগাযোগ করি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই কোম্পানিতে চাকরি করা আমার জন্য জায়েজ হবে কিনা? আমার ইনকাম কি হালাল না হারাম হবে । এ সম্পর্কে জানালে অনেক উপকৃত হতাম। জাযাকাল্লাহ খাইরান
আমি অনলাইন এ ব্যাকলিংক তৈরির কাজ করি। হঠাৎ একটা কাজ এসেছে। কাজটি হলো বায়ার এর গাজা বিক্রির ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক করতে হবে। কাজ দেবার পর আমি প্রথমে বুঝতে পারি নি এটা গাজা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট। এখন বুঝতে পেরে আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি হারাম কাজ করি না। কিন্তু এই কাজটি বাতিল করলে আমার প্রোফাইল এ সমস্যা হবে। এখন আমি কি করব?
আস-সালামু আলাইকুম, হুজুর মেয়েদের কলেজে বা ইউনিভার্সিটিতে পড়া জায়েয আছে কি? পুরুষদের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকানো তো গুনাহ, আমাদের কলেজে অনেক শিক্ষক (স্যার) আছেন অবিবাহিত এবং ক্লাসের সময় তো স্যারদের দিকে তাকিয়ে ক্লাস করতে হয়। স্যারদের দিকে তাকিয়ে ক্লাস করা কি হালাল? এবং ভবিষ্যতে ইউনিভার্সিটিতে পড়া হালাল হবে কি?
আমি একটি মাদ্রাসার নূরানী শিক্ষক। আমি ইংরেজি, গণিত এই ২ বিষয়ে পাঠদান করি। আমাদের এখানে হিফজও বিভাগও আছে। উপরে হিফজ বিভাগ আর নিচেনূরানী বিভাগ। আমাদের মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিমকে যখন নিয়োগ করা হয়,তখন তাকে বলা হয় নূরানী বিভাগও দেখাশোনা করতে হবে। যার কারণে তার বেতনও আগের হুজুরের থেকে ৪/৫ হাজার বেশি ধরা হয়। উনিও তাই যোগদান করেন।সচারচর নূরানী বিভাগে কোনো অফিসিয়াল কাজ নেই। ক্লাস করাই আমরা ৪ জন শিক্ষক। মুহতামিম মাসে ৪/৫ বার নিচে আসেন। কিছুদিন পর আমাদের এক শিক্ষক, মুহতারিমকে মাদ্রাসায় কোচিং শুরু করার ব্যাপারে বলেন, কারণ বাচ্চারা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ালেখা করতো না। মুহতারিম বিষয়টা পরিচালকের কাছে বললে, পরিচালক সাথে সাথে বিষয়টা না করে দেয়। মুহতারিম বিষয়টি নিয়ে অনেক বার পরিচালককে বলার পর, পরিচালক রাজি হন। কোচিং এর যা আয় আসতো, তা যত জন শিক্ষক পড়াইতো, সেটা ভাগ করে নিতো। আমাদের মুহতারিমও কোচিং থেকে এক ভাগ টাকা নিতো। মানে, যদি ৩ জন শিক্ষক পড়ায়, তাহলে টাকাটা ৪ ভাগ হবে। উনি যে এই টাকাটা নেয়, এইটা কি হালাল হবে? প্রথমত, উনি কোচিং বা ক্লাস কোনোটাই করান না দ্বিতীয়ত, উনাকে বাড়তি টাকা দিয়ে নূরানী দেখাশোনার জন্যও রাখা হয়। উনার যুক্তি মতে তার এই টাকাটা হালাল। ১। উনি মাদ্রাসার প্রধান। (আগেই বলছি উনাকে বাড়তি টাকা দিয়ে এই জন্যই রাখা হইছে। এখানে আরেকটা কথা বলা ভালো, নূরানী বিভাগেও আলাদা প্রধান রয়েছে, তবে তাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।) ২। কোচিং উনি শুরু করছে। (একজন প্রধান হিসেবে এটা ওনার দায়িত্ব।) ৩। ওনার একটা ফেইস ভ্যলু আছে, ওনাকে দেখে শিক্ষার্থীদের পরিবার পড়ানোর জন্য পাঠায়। ৪। ব্যবসায় সবাই ইনভেস্ট করে না। কারো কারো নামই তার ইনভেস্ট। যেমন আমরা মেধা খাটাই, আর ওনাকে দেখে দেখে স্টুডেন্ট আসে। (এটা কি আসলে একটা ব্যবসা?) সব কথার শেষ কথা, সব কষ্ট করবে নূরানী বিভাগের শিক্ষকরা, মাঝখান থেকে উনি ১ ভাগ টাকা নেয়াটা হালাল কিভাবে?