As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর

আস-সালামু আলায়কুম, আমার ছোট ভাই এবং আমরা খালাতো বোন এদের বিয়ে দিতে চায় তাদের বাবা মা আমার। ছেলে মেয়ের বয়স সরকারী বিয়ের আইনে এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই তবে ইসলাম অনুযায়ী হয়েছে। আমরা শুধু মাত্র সাক্ষী এবং কাবিন করিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দিতে চাই সে ক্ষেত্রে কোন রকম কাগজ পত্র করতে চাই না এই মুহূর্তে, যেহেতু রাষ্টীয়ভাবে বয়স হয় নাই সে ক্ষেত্রে কি শুধু মাত্র কবুল এবং উপস্থীত সাক্ষী এবং কাবীনের সাথে বিয়ে কি শুদ্ধ হবে?
আস-সালামু আলায়কুম, বিয়েতে কন্যার কবুল বলা কি জরুরি? আমি শুনলাম এক আলেম বলছেন মেয়েকে কবুল বলতে হবে না তার সম্মতি থাকলেই হবে।
আমি সউদি প্রবাসি এখান থেকে মোবাইলে বিয়ে করেছি। বিয়ের সময় উভয় পক্ষের আত্মীয়রা এক মজলিসে ছিল আমি শুধু ছিলাম না, মোবাইলে ভিডিও কলে কবুল বলেছি। বিবাহ হয়েছি কি না?
আস-সালামু আলাইকুম। পেশায় আমি একজন চিকিৎসক। এক সন্তানের জনক। আমার পিতা-মাতা জীবিত। আমরা দুই ভাই, এক বোন। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ এ ইসলাম এবং বিবাহ নিয়ে পারিবারিক আলাপে হঠাৎ জানতে পারলাম আমার বাবা আমার মাকে ১৯৮৭ সালে মানে আমার জন্মের পূর্বে রাগের মাথায় মৌখিকভাবে তালাক দেন এবং ৩ বার তালাক দেন। তখন বিটিভি এবং পত্র-পত্রিকায় ব্যপকভাবে প্রচার হতো যে রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হয়না। সেই সুবাদে আমার পিতা-মাতাও এই বিষয়টি নিয়ে আর আগান নাই এবং সংসার করে যাচ্ছেন। এই বিষয়টি আমরা কেউ জানতাম না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ১. শরিয়া অনুসারে কি আমার পিতা-মাতা বৈধ সম্পর্কে আছেন? ২. যদি বৈধ সম্পর্কে না থাকেন, তবে এখন কি এর কোন সমাধান আছে? ৩. যেহেতু আমার জন্মের পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে কি আমি নাজায়েজ সন্তান হিসেবে পরিগনিত হবো? দয়া করে আমাকে এর সমাধান দিয়ে উপকৃত করবেন। মানসিকভাবে আমি খুবই অশান্তি বোধ করছি। ধন্যবাদ।
কোন মেয়ের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাটে কবুল বললে বিয়ে হবে? মেয়ে মন থেকে আমাকে চায় এবং মন থেকেই দুইজন ৩ বার কবুল বলেছি। আমাদের কি বিয়ে হয়ে গেছে? এটা কেউ জানেনা। মানে স্বাক্ষী ছিল না, আমাদের বিয়ে হয়েছে?
আস-সালামু আলাইকুম, আমি একজন আল্লাহর বান্দি। আমি একজন ছোট বয়সী ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্কে শয়তনের ধোকায় নফসের প্রড়োচনায় লিপ্ত হই।পরবর্তীতে দু জনেই খালেস দ্বিলে তাওবা করে ফিরে আসি। আমি এখন তাকে দেখি, সেই এক সাথে করা পাপ বাদে অন্য কোনো পাপ আমাদের সামনে দৃশ্যমান না, আমি আমার মেয়ের সাথে তাকে বিবাহ দিতে চাই।এতে কি আমাদের পুরোনো পাপ বাধা হয়ে দাঁড়াবে? আমি কি আমার ইচ্ছা টা পূরণ করতে পারব?
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার প্রশ্ন হলো পরিবার থেকে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছে। এদিকে আমি অনলাইন একটি মেট্রিক্স সাইট থেকে একজন ডিভোর্সি মেয়েকে পছন্দ হয়, তার আখলাক চরিত্র বর্ননা দেখে এমন কি আমি মেয়ের পরিবার এর সাথে কথাও বলেছি মেয়েকেও দেখেছি। কিন্তু কথা হলো আমার পরিবার ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে তে রাজি হবে না কখনোই। এখন এই মূহুর্তে কি আমি আমার বাবা মা কে মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে এই কথাটা লুকিয়ে রেখে বিয়ে করতে পারি? এটা কি বাবা মা এর সাথে প্রতারনা হবে বা সত্য কে গোপন করে বিয়ে করলে সেখানে বরকত পাওয়া যাবে?
Assalamualaikum আমি ইন্ডিয়া থেকে বলছি। আমার বয়স 19 বছর। আমি নিজের চরিত্র রক্ষার জন্য বিবাহ করতে চাই। আমি যদি বিবাহ না করি আমার পক্ষে খারাপ কাজ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবার এ বিবাহ এর জন্য বললে কেউ মেনে নিবেন না। এমন অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখার জন্য নিজে থেকে শুধু বিবাহ করতে পারি? মানে পালিয়ে নয়। শুধু নিজেরা বিবাহ করে রেখে স্ত্রীও নিজের বাড়িতে থাকবে আমিও নিজের বাড়িতে থাকবো। আমি পড়াশোনা করবো। শুধু নিজের চরিত্র চরিত্র রক্ষার জন্য বিবাহটা। বাড়িতে কোনোরকম ডিষ্টার্ব হতে দেবো না। নিজের বাড়িতেই থাকবো। শুধু চরিত্র ঠিক রাখার জন্য। আমি সবরকম খারাপ কাজ থেকে নিজেকে হেফাজত করব ইনশাআল্লাহ। আমাকে এমন অবস্থায় বিবাহের জন্য একটু সাহায্য করেন।
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে বলে আজ থেকে তুমি আমার জন্য হারাম। তাহলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ। কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে যে আমি তোমাকে দ্বীনের জন্য বিয়ে করেছি। যদি তুমি দ্বীন থেকে সরে যাও তবে তোমাকে লাগবে না। তোমাকে ছেড়ে দিব আমি। তার স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে অনেকবার সালাত আদায় করেনি, মাঝেমধ্যে ভুলবশত পর্দার খেলাফ হয়েছে। অনেকসময় সে গান, নাটক, সিনেমা এগুলোও দেখেছে। এখন, তার স্বামীর এভাবে বলাটা কি তালাকের শর্ত হিসেবে গণ্য? এখন তাদের করণীয় কি? দয়া করে উত্তরটি দিবেন শায়েখ।
আমি অন্য কারো বউকে বিয়ে করেছি। তার স্বামী তাকে তালাক দেয় নি, সে কোর্টে গিয়ে নিজে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে।এখন সম্পর্ক সহিহ করবো কিভাবে?
আস-সালামু আলাইকুম। বিয়ের দেনমহর দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৩ মাস আগে দেশের বাহিরে থেকে কিছু সোনা কিনেছি। তখন সোনার দাম ছিল কম এবং দেশের তুলনায় দেশের বাহিরে দাম সব সময় কম থাকে। আমি এখন সেই সোনা দিয়ে দেনমোহর পরিশোধ করতে চাচ্ছি। আমার প্রশ্ন হল আমি সোনার দাম কোনটা ধরবো? ৩ মাস আগে যে টাকা দিয়ে কিনছি সেটা, নাকি বতমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য যেটা হয় সেটা।
আমি গত ৬ বছর যাবত একটা মেয়ের সাথে কথা বলি এবং গত ২ বছর ধরে তাকে বিয়ে করার চেষ্টা করি, কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি হয় না দেখে আমি, আমার কিছু আত্মীয় ওর বাড়ি থেকে ওরে নিয়ে আসি, এবং বিয়ে করি, আমার পরিবার রাজি ছিলো এবং ২ বছর ধরে আমার পরিবার, আমি, ওর দাদা( দাদার ভাই) সবাই ওর পরিবার কে বুঝানোর চেষ্টা করেও পারি নাই, ওরে নিয়ে আসার সময় ওর মা বাবা তেমন বাধা দেয়নি, এখন আমার প্রশ্ন হলো আমাদের বিয়ে কি জায়েজ হবে কিনা? আমার বউ এর বয়স ২২, দয়া করে জানাবেন।
আস-সালামু আলাইকুম, আমি একজন জেনারেল হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলিম। আমি ভীষণভাবে হস্তমুইথুনে অভ্যস্ত, বিয়ে করতে চাচ্ছি, এখন বিয়ের কথা চলছে, আমি ইলেকট্রিক কাজ করি এবং ইলেকট্রিক সার্ভিসিং সেন্টার আছে, ইনকাম মাশাল্লাহ, আমি তিন লক্ষ টাকার মতো ঋনগ্রস্ত, ইসলামিক নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ এই অবস্থায় আমার কি বিয়ে করা উচিৎ হবে।
সরকারীভাবে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মেয়েদের জন্য ১৮ এবং ছেলেদের জন্য ২১। এর কম বয়সে যাদের বিয়ে হয়েছে তাতে পুলিশের হস্তক্ষেপের বিষয়ে আমি শুনেছি। এমতাবস্থায় যদি কোনো মেয়ের ১৮ বছর ও কোনো ছেলের ২১ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয় তাহলে কী এই বিয়ে বৈধ হবে এবং ইসলামে কী বিয়ের জন্য কোনো বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমার সাথে একটি মেয়ের ৩বছরের বেশী প্রেম, এখন এমন এক অবস্থানে আছি যে তাকে আমি ছাড়তে পারবো না আর সে ও পারবেনা, প্রেম করে গুনাহ করেছি এখন সেটা বুঝিতে পেরেছি, এখন যদি আমরা পারিবারিক ভাবে বিবাহ করি তবে সেটা কি হালাল হবে? আর যদি আমরা হালাল ভাবে জীবন পরিচালনার চেস্টায় থাকি তবে কি আমরা সুখী হবো?, নাকী আমাদের প্রেমের কারনে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি নেমে আসবে বিবাহের পরে ও।
১৮ বছর বয়স থেকে আমি নিয়মিত নামাজ পড়তাম। কিন্তু ২০০০ সালের দিকে প্রেম-ঘটিত কারণে মানুষিকভাবে খুবই হতাশ হয়ে পড়ি এবং নামাজ পড়া ছেড়ে দেই। তারপর  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শুনা করি, কিন্তু নামাজ -রোজা পালন করা হয়নি। গান বাজনা শুনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি নানা ধরণের পাপে লিপ্ত ছিলাম। কিন্তু তওবা করার বিষয়টি মাথায় আসতো না। মাঝে মধ্যে আত্মীয়ের বাসায় থাকলে জুম্মার নামাজ পড়া হতো। ঈদের সময় গ্রামে বাবা-মায়ের সাথে থাকতাম, যতটুকু মনে পড়ে, ঈদের নামাজে যেতাম। ২০০৭ সালে ঢাকায় মেছে থাকাকালীন জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাইনি-আমার মনে আছে। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগের বিষয় -অনেক কিছু মনে করতে পারছিনা তবে মনে হয় আমার বিশ্বাস ছিল এরকম: শিরক এবং মানুষের হক নষ্ট করলে আল্লাহ মাফ করবেন না। অন্যান্য গুনা মাফ করে দিবেন। তবে এখন স্পষ্ট করে স্মরণ করতে পারছি না। স্কুল কলেজে পড়ার সময় মনে হয় কালিমা পড়েছিলাম। যতটুকু মনে হয়, ২০০৯ সালে চাকরি পেয়ে বাবা-মায়ের সাথে  কুরবানীতে টাকা দিয়েছিলাম। এরপর বিভিন্ন বছরে বাবা-মায়ের সাথে কুরবানীতে টাকা দিয়েছিলাম। চাকুরীতে ৯৯% কাজই হালাল, তবে মাঝে মধ্যে সরকারের নির্দেশে বা আইনের কারণে বাধ্য হয়ে হারাম পণ্যের লাইসেন্স প্রদান করতে হয়। এ কাজটি যে কোরআন বিরোধী বা ভয়াভহ পাপের- তা তখন আমার মাথায়ই আসেনি। এরকম প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সালে আমি বিয়ে করি। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে আসার কারণে জুম্মার নামাজে অংশ নিতাম। বিয়ের ০৩ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের দিকে আমি উপলব্ধি করি আমাকে ইসলাম ধর্ম পালন করা খুবই জরুরী। আমি নিয়মিত নামাজ- রোজা পালন করা শুরু করি। চাকুরীতে ৯৯% কাজই হালাল, তবে মাঝে মধ্যে সরকারের নির্দেশে বা আইনের কারণে এখনো কিছু হারাম পণ্যের লাইসেন্স প্রদান করতে এটা যে মহা পাপের কাজ সেটা মাথায় আসে সম্ভবত ২০১৮ সালের দিকে।  সামগ্রীকভাবে, মনে হয় অতীতের পাপ এবং তওবা করার বিষয়টি অনেক পড়ে বা ২০২০ সালের দিকে আমার মাথায় আসে। এখন নিয়মিত আল্লার কাছে লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাই। এরপর থেকে রাষ্ট্রীয় আইনের কারণে যখনই হারাম পণ্যের লাইসেন্স প্রদান করতে হয় তখনই আল্লার কাছে ক্ষমা চাই। অফিসে দ্বীনের দাওয়াত দেই, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করি। বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরে কয়েক বছর আমি বেনামাজী এবং ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম। নানা বিষয়ে এখন আমার মনে সন্দেহ: যেমন ফরজ গোসল ঠিকমত করতাম নাকি গাফেল ছিলাম। আর যদি সত্যিই গাফেল থেকে থাকি, তাহলে আমার কি হবে? বিয়ের আগে আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি নামাজ পড়ি কিনা? আমি বলেছিলাম পড়ি (মিথ্যা বলে ছিলাম)। তবে বিয়ের দিন আমার স্ত্রী নামাজ পড়েনি, সারাদিন মুখে মেক-আপ নিয়ে ছিল। এমনকি বিয়ের রাত-সকালে আমি তাকে ফজর পড়তে দেখিনি। দুজনেই সকাল ১০টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি ফজর নামাজ না পড়ে। সম্প্রতি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে বললো যে বিয়ের দিন নামাজ পড়েনি। সে মাঝে মাঝে নামাজ পড়ে । আমাদের সন্তান হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, বেনামাজী কাফের এবং দ্বীন সম্পর্কে উদাসীনতা ঈমান ভঙ্গের কারণ। তাহলে আমাদের বিয়ে কি বৈধ নাকি বিয়ে নবায়ন করতে হবে। আমাদের সন্তানরা কি বৈধ? দয়া করে জানাবেন। আমি কি এখনো মুসলিম? ঈমানের পথে থাকতে হলে আমার করণীয় কি? খুব টেনশনে আছি। উল্লেখ্য, আমি এখন নিয়িমত নামাজ আদায় করি এবং ইসলাম যথাযথাভাবে মেনে চালার চেষ্টা করি। আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাই। আমার স্ত্রীও নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করে ।
আসসালামু আলাইকুম আমি পরিবারের একমাত্র সন্তান এবং একটি সরকারি সংস্থায় চাকরি করি, আমি একটি মেয়েকে পছন্দ করি মেয়েটি যথেষ্ট দ্বীনদার পর্দা করে। তাই যথাযথ বাসায় মেয়েটির বিষয়ে বলি কিন্তু বাড়ি থেকে কোন প্রকার আগ্রহ প্রকাশ করে না, কারণ মেয়েটি বাংলাদেশের বিখ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করে এবং আমরা সমবয়সী। পরিবারের দাবি হলো তারা একটি ঘরোয়া মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে চায়। এখন আমার করনিয় কি? দয়া করে উপায় বললে উপকৃত হবো
স্ত্রী যদি তালাক দেয় এবং স্বামী যদি সেটা না মানে, তাহলে কি তালাক কার্যকর হবে? কারও কোনো পরকীয়া নেই। বিভিন্ন অবহেলার কারণে স্ত্রী তালাক দিতে চাচ্ছে। কিন্তু স্বামী তাকেই ভালবাসে। এ-ব্যাপারে কিছু বলুন।
মেয়ের মা মেয়েকে আমার কাছ থেকে ছাড়া ছাড়ি করিয়ে নিতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখে কিন্তু আমরা জানতাম না। এই না দিতে চাওয়ার উপর ভিত্তি করে ঝগড়াঝাটি হলো। মেয়ের মা মেয়েকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তালাক দিতে বাধ্য করলো। শেষমেশ কাজী ডেকে এক বসায় তালাক নামা পড়ানো হলো – মৌখিকভাবে (একবাক্যে এবং একবার-ই ১ তালাক ২ তালাক, ৩ তালাক গ্রহণ বলা হলো)। কিন্তু মেয়ে টা মন থেকে তালাক দিতে চায় নি। আবার ঐ সময় আমরা আরেকটু ভাবতে বললে মেয়েওয়ালারা সময় দিতে চায় নি, ওরা আর কিছু ভাবতে চায় না, তালাক চায়। আমরা তালাক দিতে চাই না কিন্তু ওরা তালাক দেবেই। এবং আমাকে পরোক্ষভাবে চাপাচাপি করে যেন তালাক দিয়ে দেই। (আমি মেয়েকে ঘন্টায় ঘন্টায় কেন কল দেই না, আমি কেন ভিডিও কল দেই না, আমি কেন প্রতি মাসে ২ বার করে গ্রামে যাই না, আমি কেন মেয়ের সব আত্মীয়ের সাথে কথা বলি না, এগুলো কারণ হিসেবে দেখিয়ে ছাড়াছাড়ি করাতে চাইলো) কিন্তু ঐ সময় আমারও মন থেকে তালাক দিতে ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু দূর্ঘটনা হয়ে গেল। চাপের কারণে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে। কিন্তু এখন আমি ঐ মেয়ের সাথে পূণরায় জীবন-যাপন করতে চাই, মেয়েও সেটাই চায়। এমতাবস্থায় উপরোক্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে শরীয়তের ভিত্তিতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে কিনা জানাবেন দয়া করে। [বি.দ্রঃ এখানে মনের কথাগুলো (তালাকের মুহুর্তে মনের অবস্থা যা ছিল) সেইভাবে তুলে ধরতে পারিনি, তাই অনুরোধ রইল কিছু কথা সরাসরি বলার সুযোগ করে দিতে।]
শায়খ, একসাথে তিন বা ততোধিক তালাক তিন তালাকই হবে তার প্রমান সহিহ হাদিস ও কুরআন থেকে জানতে চাই। সহিহ হাদিস বলছে একতালাক গন্য করা হত (সহিহ মুসলিম, আবু দাউদ-2196)। আমি আরও জানতে চাই কোন সহিহ হাদিস আছে যেখানে বলা আছে তিন তালাক ই হবে?
আসসালামু আলাইকুম। অনেকেই বলে যে বিয়ে করা নাকি ফরজ। কিন্তু আমি জানি যে বিয়ে করা ব্যক্তি অনুযায়ী ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, নফল, মুস্তাহাব হতে পারে। এমনকি কেউ বিয়ে নাও করতে পারে। সঠিক কোনটা হবে দয়া করে জানাবেন। এবং আমি আরো জানতে পেরেছি যে ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ ও ইমাম নববী (রহঃ) নাকি সারাজীবন কোনো বিয়ে করেননি। এ কথাটি কি ঠিক দয়া করে জানাবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! আমি ছোট একটা কোম্পানিতে জব করি। এখন আমি যা বেতন পাই তা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব। এখন আমি বিয়ে করতে চাই একজন পরিপূর্ণ দ্বীনদার মেয়েকে। নিজেকে বিভিন্ন ধরনের গুনাহ থেকে বেচে থাকার জন্য বিয়ে করতে চাই। কিন্তু সমস্যাটি হলো যে, আমি যা টাকা পাই তা দিয়ে পরিবার চালানো অসম্ভব। তাছাড়া আমাদের নিজের বাড়িঘর, জমানো টাকা পয়সা নেই। বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহর দেয়ার তৌফিক নেই। এমন অবস্থায় আমার সাথে বিয়ে দিতে কেউ রাজি হবে না। তাছাড়া আমার প্রায়ই অনেক গুনাহ হয়ে যাচ্ছে + আমি সবসময়ই নিজেকে একা অনুভব করতেছি। আমি কোন কাজেই মন দিতে পারতেছি না, আমি বুজতেছি আমি অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছি। আমি বিয়ে করতে চাচ্ছি এই জন্য যে আমি যেন ভালো হয়ে থাকতে পারি এবং আমি যেন নামাজ পড়তে সাহায্য পাই। কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে আমরা দুর্বল, এখন আমি কি করব?
আমার বোনের স্বামী প্রবাসে থাকেন। মোবাইলে কথা বলার সময় আমার বোনের স্বামী তালাক শব্দটি ২-৩ বার উল্লেখ করেন। আমার বোনের ছোট একটি বাচ্চা আছে। কোরআন হাদিসের আলোকে জানাবেন এখন তাদের সংসার করতে ধর্মীয় কোন সমস্যা আছে কিনা
আসসালামু আলাইকুম। আমার আম্মু মারা যাওয়ার পর আব্বু ২য় বিয়ে করে। আব্বু যে মহিলাকে ২য় বিয়ে করে অর্থাৎ আমার সৎ মা তার আবার আব্বুর সাথে বিয়ে হওয়ার আগে অন্য আরেক জনের সাথে বিয়ে হয়েছিল এবং সেই জায়গার একটি মেয়ে আছে অর্থাৎ আমার সৎ মায়ের আগের পক্ষের একটি মেয়ে আছে। তাহলে কি আমি এই মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো? সংক্ষেপে বললে প্রশ্নটা হবে, সৎ মায়ের আগের পক্ষের মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে? উল্লেখ্য যে, যেদিন থেকে আব্বু ২য় বিয়ে করেছেন সেদিন থেকে ঐ মেয়েটি আমাদের সাথে আমাদের বাড়িতে থাকে।