ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার গ্রন্থটি ফিকহে হানাফীর হাদীসভিত্তিক দলীলের সঙ্কলন। গ্রন্থটিতে মুফতি আমীমুল ইহসান রাহ. হানাফী ফিকহের উল্লেখযোগ্য মাসআলার হাদীসভিত্তিক দলীল পেশ করেছেন। সহীহ হাদীসকে প্রাধান্য দিয়ে আমলযোগ্য হাদীসসমূহ সঙ্কলন করেছেন। প্রয়োজনে সনদের উপর নাতিদীর্ঘ আলোচনা করে হাদীসগুলোর অবস্থা জানিয়েছেন। বাঙালি পাঠকদের কথা বিবেচনা করে গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ উপস্থাপন করেছেন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ড. রাহ. কিছু টীকাও লিখেছেন। গ্রন্থটির সম্পাদনা ও হাদীস তাখরীজ করেছেন শাইখ ইমদাদুল হক। সর্বোপরি, গ্রন্থটা তালীবুল ইলমদের জন্য খুব উপকারী একটা সঙ্কলন।
তৃতীয় বা শেষ খণ্ডে আলোচিত হয়েছে জিহাদ, খিলাফাত, ব্যবসা, মুদারাবা, কুরবানী, ইহসান ইত্যাদি বিষয়ক সর্বমোট ৮৪৮ টা হাদীস (১৮৬২ থেকে ২৭১০ পর্যন্ত)।
আমরা আশা করি, বাংলাভাষায় হাদীসচর্চা, হাদীসভিত্তিক তুলনামূলক ফিকহ ও হানাফি ফিকহের দালীলিক চর্চায় গ্রন্থটি ভূমিকা রাখবে।
ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার ৩য় খণ্ড
উপরের আলোচনা থেকে প্রতিভাত হয় যে, দ্বিতীয় প্রকারের ওহি হাদীস বা সুন্নাহকে অস্বীকার করার অর্থ হল, আল কুরআনের অগণিত আয়াতকে অস্বীকার করা এবং ওহির এক বিরাট অংশকে বাতিল সাব্যস্ত করা। হাদীস অস্বীকার করার পর কুরআন বোঝা ও মানার দাবিও অর্থহীন হয়ে পড়ে এবং খুলে যায় অপব্যাখ্যার হাজারো দরজা। এজন্য যুগেযুগে হাদীস অস্বীকারকারী বিভ্রান্ত আহলে কুরআন সম্প্রদায়ও তাদের দাবিতে অটল থাকতে পারে নি/ থাকে নি। তারা হাদীস অস্বীকারের নামে কুরআনের বাহক ও আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা তো পশ্চাত্যে নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু নিজের পক্ষ থেকে নানান আজগুবি ও গাঁজাখোরি ব্যাখ্যা জুড়ে দিয়ে থাকে। এমন তো নয় যে, তারা ব্যাখ্যাহীনভাবে কুরআনের আয়াতটুকুই শুধু মানুষের সামনে উপস্থাপন করে। এমনকি ‘কুরআনের ব্যাখ্যায় হাদীস মানার প্রয়োজন ও অনুমোদন নেই’ তাদের এই প্রধান দাবি প্রমাণের জন্যও দুয়েকটি আয়াতের ভুল অনুবাদের সাথে নিজেদের পক্ষ থেকে শতশত বাক্যের ফালতু প্রলাপ উপস্থাপন করে থাকে।
851 টি স্টক এ আছে
প্রকাশনা | আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স |
---|---|
লেখকঃ | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) |
আইএসবিএনঃ | 978-984-93633-6-1 |
Shovon Towfiq –
5 Star
Rokon Uzzaman –
5 Star
Anonymous –
5 Star
Tasnim Huda –
5 Star
Md. Mujahidul Islam –
5 Star