নেককার মানুষদের সাহচর্যে এরূপ ভালভাল কথার মাজলিসকে ‘যিকরের মাজলিস’ বলা হয়। মুমিনের দায়িত্ব সকল জাগতিক মাজলিস, বৈঠক বা গল্পগুজবের মধ্যেও আল্লাহর যিকর করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ পড়া। পাশাপাশি প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব নিজের চারিপার্শে ঈমানী একটি পরিবেশ তৈরি করা। নিজের পরিবার দিয়ে শুরু করতে হবে।

পরিবারের সদস্যগণ আপনার জাগতিক আনন্দ ও বেদনার সাথী। পাশাপাশি তাঁদেরকে রূহানী আনন্দ ও বেদনার সাথী বানিয়ে নিন। এতে আপনার পারিবারিক জীবন অনেক বেশি বরকতময় হবে। পরিবারের সকল সদস্য একত্রে বসে অন্তত ১০/২০ মিনিট কুরআনের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত, অর্থ পাঠ ও আলোচনা করুন। সম্ভব হলে এর সাথে ‘রিয়াদুস্সালিহীন’ জাতীয় গ্রন্থ থেকে একটি হাদীস অর্থসহ পাঠ করুন।

শিশু-কিশোরদের অবশ্যই এতে শরীক করবেন। শিশু-কিশোররা যখন অনুভব করে যে, মাত্র ১০/১৫ মিনিটে মাজলিস শেষ হবে তখন তারা তাদের খেলাধুলা বা কার্টুন রেখে মাজলিসে বসতে আপত্তি বোধ করে না। পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে বা অন্তত প্রতি মাসে একবার বাড়িতে কোনো আলিমকে এনে যিকরের মাজলিস প্রতিষ্ঠা করবেন। মহল্লা, শহর বা দেশের যে কোনো পর্যায়ের যিকরের মাজলিসে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একত্রে অংশগ্রহণের চেষ্টা করবেন।

এছাড়া সুযোগ থাকলে রেডিও, টেলিভিশন, ক্যাসেট, ভিডিও ইত্যাদিতে ইসলামী অনুষ্ঠানগুলো পরিবারের সকলকে নিয়ে একত্রে উপভোগের অভ্যাস করুন।সম্মানিত পাঠক, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এরূপ মাজলিস প্রথম দৃষ্টিতে অসম্ভব বা কষ্টকর মনে হতে পারে। কেউ হয়ত কথা শুনবে না বলে মনে হতে পারে। এগুলো সবই শয়তানী ওয়াসওয়াসা। সকল দ্বিধা এড়িয়ে শুরু করুন।

দেখবেন তা খুবই সহজ ও আনন্দময় হয়ে উঠবে। অন্যান্য সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ইলমী বা দাওয়াতী ব্যস্ততা থেকে সময় কাটছাট করে পরিবারের সাথে এরূপ মাজলিসের জন্য অধিক পরিমাণ সময় নির্ধারণ করুন।

সহীহ মাসনূন ওযীফা

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।

প্রথম বিদ‘আত: ‘জলি যিকর’ বা সশব্দে যিকর করা, দ্বিতীয় বিদ‘আত: দাঁড়িয়ে বা লাফালাফি করে যিকর করা, ফরয সালাতের পর গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসনূন যিকর, সালাতই শ্রেষ্ঠ যিকর, মুনাজাত ও দু‘আ