শাওয়াল মাস বিষয়ক কিছু জাল হাদীস

রোযা ও অন্যান্য ফযীলত এ সকল বানোয়াট কথার মধ্যে রয়েছে: “হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমাইয়াছেন: যেই ব্যক্তি শাওয়াল মাসে নিজেকে গুনাহের কার্য হইতে বিরত রাখিতে সক্ষম হইবে আল্লাহ তা‘আলা তাহাকে বেহেশতের মধ্যে মনোরম বালাখানা দান করিবেন। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেই ব্যক্তি […]
শাওয়াল মাস

(ক) সহীহ হাদীসের আলোকে শাওয়াল মাস শাওয়াল মাস হজ্জের মাসগুলোর প্রথম মাস। এ মাস থেকে হজ্জের কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সহীহ হাদীস দ্বারা এ মাসের একটি ফযীলত প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ “যে ব্যক্তি রামাদান মাসের সিয়াম পালন করবে। এরপর সে শাওয়াল […]
পানাহারের গুরুত্বপূর্ণ আদব: হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত থাকা

খাওয়ার প্রথম আদব হল, হারাম খাওয়া যাবে না, হারাম উপার্জন ভক্ষণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, হালাল-হারাম নিয়ে বেশ সচেতন, মাশাআল্লাহ। এত সচেতন যে, দেখেন একজন আমাকে প্রশ্ন করেছে, সে বর্তমানে উচ্চ পদস্থ একজন অফিসার, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, সে হিসেবে আমাকে স্যার বলে, যদিও আমার বিভাগে সে পড়ে নি, বর্তমানে সিনিয়র একজন সরকারি কর্মকর্তা, […]
লাইলাতুল কাদর বনাম ২৭ রমযান

কুরআন-হাদীসে ‘লাইলাতুল কাদরের’ মর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘লাইলাতুল কাদ্র’কে নির্দিষ্ট করে দেন নি। রামাদান মাসের শেষ দশ রাত এবং বিশেষ করে শেষ দশ রাতের মধ্যে বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কাদর সন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহাবী-তাবিয়ীগণের কেউ কেউ ২৭ রামাদান লাইলাতুল কাদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া […]
জুমু‘আতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর

রামাদান মাসের শেষ জুমুআ। আজ আমরা ঈদের আহকাম ও রামাদানের বিদায় সম্পর্কে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। কিন্তু তার আগে আমরা এ সপ্তাহের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলির বিষয়ে সংক্ষেপ আলোকপাত করি। আজ ইংরেজী …. মাসের …. তারিখ। এ সপ্তাহের দিবসগুলির মধ্যে রয়েছে …। সামনে আমাদের ঈদুল ফিতর। হাদীস শরীফে ‘চাঁদ দেখে সিয়াম শুরু করার ও শেষ […]
পানাহারের গুরুত্বপূর্ণ আদব : অল্প ও পরিমিত খাবার খাওয়া

এরপর একটা গুরুত্বপূর্ণ আদব, ফরয বা ওয়াজিব না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পর্যায়ের। সেটা হল কম খাওয়া (পরিমিত খাওয়া)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দস্তরখানে খেয়েছেন, আমরাও দস্তরখানে খাই। কিন্তু দস্তরখানে খাওয়ার কোনো তাকীদ তিনি দেন নি। ‘দস্তরখানে খাও’, এমন নির্দেশ তিনি দেন নি। দস্তরখানে না খেলে আপত্তি তিনি কখনো করেন নি। তারপরেও আমরা […]
রামাদানে কুরআন তিলাওয়াত ও কিয়ামুল্লাইল

রামাদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কুরআন তিলওয়াত। বিগত খুতবায় আমরা এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করেছি। রামাদানে দুভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে: প্রথমত কুরআন কারীম দেখে দেখে দিবসে ও রাতে তিলাওয়াত করতে হবে। সাহাবী-তাবিয়ীগণ রামাদানে এভাবে তিলাওয়াত করে কেউ তিন দিনে, কেউ ৭ দিনে বা কেউ ১০ দিনে কুরআন খতম করতেন। আমাদের সকলকেই চেষ্টা করতে হবে […]
শবে কদর, ইতিকাফ ও ফিতরা

রামাদান মাসের তৃতীয় জুমুআ। আজ আমরা রামাদানের শেষ দশ রাত, শবে কদর, ইতিকাফ ও সাদাকাতুল ফিতর সম্পর্কে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। কিন্তু তার আগে আমরা এ সপ্তাহের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলির বিষয়ে সংক্ষেপ আলোকপাত করি। আজ ইংরেজী ….. মাসের ….. তারিখ। এ সপ্তাহের দিবসগুলির মধ্যে রয়েছে …………..। রামাদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শেষ দশ রাত। […]
পিতামাতা ও সকল মুসলিমের জন্য ইস্তিগফার

মুমিন যেমন নিজের জন্য আল্লাহর ক্ষমা ভিক্ষা করবেন, তেমনি মুসলিম উম্মাহর সকল সদস্যের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। বিশেষত নিজের পিতামাতা, আত্মীয়, বন্ধু ও পূর্ববর্তী মুসলিমগণের জন্য। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, পরবর্তী যুগের মুসলিম প্রজন্মরা বলে: رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلاًّ لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ “হে […]
তাওবা-ইস্তিগফারের ফযীলত ও নির্দেশনা

কুরআন কারীমে মুমিনগণকে বারবার তাওবা ও ইস্তিগফার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাওবা ও ইস্তিগফারের জন্য ক্ষমা, পুরস্কার ও মর্যাদা ছাড়াও জাগতিক উন্নতি ও বরকতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। অনুরূপভাবে বিভিন্ন হাদীসে ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, ইসতিগফার আল্লাহর অন্যতম যিকর। যিকরের সাধারণ ফযীলত ইস্তিগফারকারী লাভ করবেন। এ ছাড়াও ইস্তিগফারের অতিরিক্ত মর্যাদা ও সাওয়াব […]
কয়েকটি মাসনূন ইস্তিগফার

মুমিন যে কোনো ভাষায় ও বাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। ভাষা বা বাক্যের চেয়ে মনের অনুশোচনা ও আবেগ বেশি প্রয়োজনীয়। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শেখানো বাক্য ব্যবহার করা উত্তম। সাধারণভাবে বিভিন্ন হাদীসে ইস্তিগফারের জন্য ‘আসতাগফিরুল্লা-হ’ (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি) এবং কখনো এর সাথে ‘ওয়া আতূবু ইলাইহি’ (এবং আমি তাঁর কাছে তাওবা […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৮)

যিকর নং ১৮৬: গৃহকর্তার জন্য অতিথির দু‘আ-৩ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْ مَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বারিক লাহুম ফী-মা রাযাক্ব্তাহুম, ওয়াগফিরলাহুম, ওয়ার‘হামহুম। অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি এদের যে রিয্ক প্রদান করেছেন তাতে বরকত প্রদান করুন, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে রহমত করুন।” আব্দুল্লাহ্ বিনু বিশর বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতার […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৭)

أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ উচ্চারণ: আফত্বারা ‘ইনদাকুমুস স্বা-ইমূন, ওয়া আকালা ত্বা‘আ-মাকুমুল আবরা-র, ওয়া স্বাল্লাত ‘আলাইকুমুল মালা-ইকাহ। অর্থ: তোমাদের কাছে রোযাদারগণ ইফতার করুন, তোমাদের খাদ্য নেককারগণ ভক্ষণ করুন এবং তোমাদের জন্য ফিরিশতাগণ দু‘আ করুন। কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ইফতার করালে বা সিয়াম ছাড়া অন্য সময়ে কোনো খাদ্য খাওয়ালে […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৬)

যিকর নং ১৮৪: গৃহকর্তার জন্য অতিথির দু‘আ-১ اَللّٰهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي (وَأَسْقِ مَنْ أَسْقَانِي) উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা, আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী, ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী। অর্থ: হে আল্লাহ, যে আমাকে খাইয়েছে তাকে আপনি খাদ্য প্রদান করুন এবং যে আমাকে পান করিয়েছে তাকে আপনি পানীয় প্রদান করুন। চলবে… বই : রাহে বেলায়াত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৫)

যিকর নং ১৮২: খাবারের পরের যিকর-১ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنِيْ هَذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّي وَلَا قُوَّةٍ উচ্চারণ: আল‘হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গাইরি ‘হাওলিম মিন্নী ওয়ালা- ক্বুওয়াহ। অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এ খাদ্য খাইয়েছেন এবং আমাকে তা প্রদান করেছেন আমার কোনো অবলম্বন ও ক্ষমতা ছাড়াই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৪)

যিকর নং ১৮১: খাবারের পূর্বের যিকর بِسْمِ اللهِ، بِسْمِ اللهِ فِيْ أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ (বিসমিল্লাহ), অর্থাৎ “আল্লাহর নামে”। শুরুতে আল্লাহর নাম বলতে ভুলে গেলে বলবে: (বিসমিল্লাহি ফী আউআলিহী ওয়া আ-খিরিহী), অর্থাৎ “আল্লাহর নামে এর প্রথমে এবং এর শেষে”। হাদীসটি সহীহ। চলবে… বই : রাহে বেলায়াত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ৩)

যিকর নং ১৮০: ইফতারের দু‘আ-৩ اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ [فَتَقَبَّلْ مِنِّيْ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ] অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনার জন্যই আমি সিয়াম পালন করেছি এবং আপনার রিযক দ্বারা ইফতার করেছি। অতএব আপনি আমার কর্ম কবুল করুন নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।” দু‘আটি একাধিক যয়ীফ সনদে বর্ণিত। চলবে… বই : রাহে বেলায়াত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ২)

যিকর নং ১৭৯: ইফতারের দু‘আ-২ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِيْ উচ্চারণ: “আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আসআলূকা বিরা‘হমাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরালী। অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনার সর্বব্যাপী রহমতের ওসীলা দিয়ে আমি আপনার কাছে চাইছি যে, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।” আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইফতারের সময় এ দু‘আ বলতেন। চলবে… […]
সিয়াম, ইফতার, পানাহার, মেহমানদারি (পর্ব – ১)

যিকর নং ১৭৭: সিয়াম শুরুর যিকর সিয়ামের শুরুতে কোনো মাসনূন যিকর নেই। তবে সিয়াম শুরুর পূর্বের রাতেই- সিয়ামের জন্য ‘নিয়্যাত’ করা যরুরী। মনের মধ্যে জাগরুক উদ্দেশ্যকে নিয়্যাত বলে। সিয়ামের পূর্বে রাতে শয়নের আগে বা সাহরির সময় মুমিনের মনের মধ্যে সিয়াম পালনের যে ইচ্ছা সেটিই নিয়্যাত। “নাওয়াইতুআন” বলে বা অন্য কোনোভাবে মুখে নিয়্যাত করা খেলাফে সুন্নাত। […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (শেষ পর্ব – ০৭)

কুরআন বাদ দিয়ে সিয়াম পালন করার কারণেই আমরা প্রকৃত তাকওয়া অর্জন করতে পারছি না। রামাদানে যতটুকু আমরা কুরআন চর্চা করছি, ততটুকুও যদি বুঝে করতাম তাহলে অনেক বেশি তাকওয়া অর্জন করতে পারতাম। আমরা দিবসে তিলাওয়াতে এবং তারাবীহে, ইশা, ফজরে বা মাগরিবে ইমামের মুখে কুরআনের ভাষায় পিতামাতা, এতিম, প্রতিবেশী, দরিদ্র ও অন্যদের অধিকারের কথা, হক্ক কথা ও […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৬)

সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৬) ______________________ আল্লাহর কিতাব পাঠ করাকে কুরআন কারীমে ‘তিলাওয়াত’ বলা হয়েছে, কারণ তিলাওয়াত অর্থ পিছে চলা বা অনুসরণ করা। শুধুমাত্র না বুঝে পাঠ করলে তিলাওয়াত হয় না। তিলাওয়াত মানে পাঠের সময় মন পঠিত বিষয়ের পিছে চলবে, এরপর জীবনটাও তার পিছে চলবে। আল্লাহ বলেন: الَّذِينَ آَتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلاوَتِهِ […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৫)

সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৫) _____________________ কুরআন সাধারণভাবে দিবারাত্র সকল সময়ে পাঠ করা যায়। আর মুমিনের কুরআন পাঠের বিশেষ সময় হলো রাত্রে কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন কারীমে এরূপ তিলাওয়াতকে মুমিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রামাদানের রাত্রিতে সালাতুল্লাইল আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। কিয়ামুল্লাইল বা তারাবীহে এক বা একাধিকবার […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৪)

সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৪) ______________________ মুমিনের অন্যতম ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত করা। আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ যিকির কুরআন তিলাওয়াত। কুরআন কারীমের একটি আয়াত শিক্ষা করা ১০০ রাক‘আত নফল সালাতের চেয়েও উত্তম বলে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে। সারা বৎসরই তিলাওয়াত করতে হবে। বিশেষত রামাদানে বেশি তিলাওয়াত করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিশেষ সুন্নাত, যাতে অতিরিক্ত সাওয়াব ও […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৩)

সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০৩) ______________________ সিয়াম ফরয করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছে, যেরূপভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” আমরা দেখেছি, আল্লাহ বলেছেন যে, সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হবে। তাকওয়া অর্থ হলো হৃদয়ের মধ্যে আল্লাহর অসন্তুষ্টি […]
সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০২)

সিয়াম, রামাদান ও কুরআন (পর্ব – ০২) ______________________ প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম ছাড়াও যথাসম্ভব বেশি বেশি নফল সিয়াম পালনে উৎসাহ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; কারণ সিয়াম একটি তুলনাবিহীন ইবাদত। আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে একটি আমল শিখিয়ে দিন। তিনি বলেন- عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لا عَدْلَ لَهُ […]