যুলহাজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল

রাসূলুল্লাহ صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ বলেন: “যুলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে নেক আমল করা আল্লাহর নিকট যত বেশি প্রিয় আর কোনো দিনের আমল তাঁর নিকট তত প্রিয় নয়। সাহাবীগণ প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহর পথে জিহাদও কি এ দশদিনের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর নিকট প্রিয়তর নয়? তিনি বলেন, না, আল্লাহর পথে জিহাদও প্রিয়তর নয়, […]
প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুর স্মরণে শাহাদতের মর্যাদা

আমাদের দেশের ওয়াযে ও পুস্তকে বহুল প্রচলিত একটি কথা: يَكُوْنُ مَعَ الشُّهَدَاءِ مَنْ ذَكَرَ الْمَوْتَ كُلَّ يَوْمٍ عِشْرِيْنَ مَرَّةً “যে ব্যক্তি মৃত্যুকে প্রতিদিন বিশবার স্মরণ করবে সে শহীদগণের সঙ্গী হবে বা শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।” মুহাদ্দিসগণ উল্লেখ করেছেন যে, এটি সনদবিহীন বানোয়াট কথা।প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুর স্মরণে শাহাদতের মর্যাদা আমাদের দেশের ওয়াযে ও পুস্তকে বহুল প্রচলিত […]
শাওয়াল মাস বিষয়ক কিছু জাল হাদীস

রোযা ও অন্যান্য ফযীলত এ সকল বানোয়াট কথার মধ্যে রয়েছে: “হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমাইয়াছেন: যেই ব্যক্তি শাওয়াল মাসে নিজেকে গুনাহের কার্য হইতে বিরত রাখিতে সক্ষম হইবে আল্লাহ তা‘আলা তাহাকে বেহেশতের মধ্যে মনোরম বালাখানা দান করিবেন। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেই ব্যক্তি […]
শাওয়াল মাস

(ক) সহীহ হাদীসের আলোকে শাওয়াল মাস শাওয়াল মাস হজ্জের মাসগুলোর প্রথম মাস। এ মাস থেকে হজ্জের কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সহীহ হাদীস দ্বারা এ মাসের একটি ফযীলত প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ “যে ব্যক্তি রামাদান মাসের সিয়াম পালন করবে। এরপর সে শাওয়াল […]
চার রাত্রিতে ভাগ্য লিখন

আয়েশার রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে কথিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: يَنْسِخُ اللهُ فِيْ أَرْبَعِ لَيَالٍ الآَجَالَ وَالأَرْزَاقَ: فِيْ لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ وَالأَضْحَى وَالْفِطْرِ وَلَيْلَةِ عَرَفَةَ “মহান আল্লাহ্ চার রাতে হায়াত, মওত ও রিয্ক লিপিবদ্ধ করেন। মধ্য শাবান, ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর ও আরাফার রাতে।” এ হাদীসটি ইবনু হাজার আসক্বালানী (৮৫৫ হি) তাঁর যয়ীফ ও মিথ্যাবাদী রাবীদের জীবনীগ্রন্থ ‘লিসানুল মীযান’-এ উল্লেখ করেছেন। তিনি আহমদ ইবনু কা’ব আল ওয়াছেতী নামক ৪র্থ হিজরী শতাব্দীর […]
মধ্য-শা’বানের রাত্রিতে ভাগ্যলিখন বিষয়ক হাদীসসমূহ

মধ্য-শা’বানের রাত্রি বা লাইলাতুল বারাআতের ফযীলতে বর্ণিত দ্বিতীয় প্রকার হাদীসগুলিতে এ রাত্রিতে হায়াত-মওত ও রিযক নির্দ্ধারণের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলির মধ্যে রয়েছে: হাদীস নং ১০: জন্ম-মৃত্যু লিখা, কর্ম উঠানো ও রিয্ক প্রদান আয়েশার রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে কথিত যে, মধ্য শা’বানের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বলেন, তুমি কি জান আজকের […]
তাকদীর বা আল্লাহর নির্ধারণে বিশ্বাস (সর্বশেষ পর্ব-৪)

তাকদীরের প্রকৃত ও পূর্ণতম বিশ্বাস ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর। তাঁর পরে তাঁর সাহাবিগণের। আর তাঁদের জীবনের দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারি যে, তাকদীরের বিশ্বাস কীভাবে মানুষকে কর্মবীর ও প্রত্যয়ী করে তোলে। তাকদীরের পূর্ণতম বিশ্বাস ছিল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম—এর। আর তাই তিনি ছিলেন মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম দৃঢ়প্রত্যয়ী কর্মবীর। তিনি তাঁর সাধ্যমতো কর্ম করেছেন, আল্লাহর […]
তাকদীর বা আল্লাহর নির্ধারণে বিশ্বাস (পর্ব-৩)

ইসলামি তাকদীরে বিশ্বাস ও অনৈসলামিক ভাগ্যে বিশ্বাসকে অনেকে এক করে ফেলেন। অনেকে মনে করেন ভাগ্য অনুসারেই যখন সবকিছু হবে তখন কর্মের কী দরকার! এটি পুরোপুরি ইসলাম বিরোধী বিশ্বাস। কুরআন কারীমের বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই যে, মক্কার কাফিরগণ এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করত। যে অবিশ্বাসী তাকদীর নিয়ে বিবাদ করে, তাকদীরের দোহাই দিয়ে কর্ম ছেড়ে দেয় সে মূলত […]
তাকদীর বা আল্লাহর নির্ধারণে বিশ্বাস (পর্ব-১)

তাকদীর অর্থ নির্ধারণ। তাকদীরে বিশ্বাস অর্থ আল্লাহর জ্ঞান, লেখন, সৃষ্টি, ইচ্ছা ও ন্যায় বিচারে বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর জ্ঞান অসীম, অনন্ত ও সর্বব্যাপী। তিনি অনাদিকাল থেকে সৃষ্টির সকল বিষয় জানেন। সৃষ্টির আগেই জানেন কখন কোথায় কী ঘটবে ও কীভাবে ঘটবে। মুমিন আরো বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান লাওহে মাহফূয বা সংরক্ষিত পত্রে লেখে রেখেছেন। আল্লাহর […]
ইবাদত কবুলের শর্ত

কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনা থেকে আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহর দরবারে ইবাদত কবুল বা গৃহীত হওয়ার জন্য তিনটি মৌলিক শর্ত রয়েছে:
(১). বিশুদ্ধ ঈমান ও ইখলাস: র্শিক, কুফ্র ও নিফাক-মুুক্ত বিশুদ্ধ ঈমান ইবাদত কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত। উপরন্তু ইবাদতটি পরিপূর্ণ ইখলাসের সাথে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো রকম উদ্দেশ্যর সামান্যতম সংমিশ্রণ থাকলে সে ইবাদত আল্লাহ কবুল করবেন না।
চিকিৎসা ও ঝাড়ফুঁঁক

অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিতীয় দায়িত্ব চিকিৎসার চেষ্টা করা। বিভিন্ন হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার চিকিৎসার নির্দেশ ও উৎসাহ প্রদান করেছেন, ঝাড়ফুঁক অনুমোদন করেছেন এবং তাবিয-তাগা ইত্যাদি নিষেধ করেছেন। এক হাদীসে উসামা ইবনু শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: »يَا عِبَادَ اللهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ […]
নিজের জন্য নিজে দু‘আ করা

অনেকে নিজের জন্য নিজে আল্লাহর দরবারে দু‘আ চাওয়ার চেয়ে অন্য কোনো বুযুর্গের কাছে দু‘আ চাওয়াকেই বেশি উপকারী বলে মনে করেন। পিতামাতা, উস্তাদ, আলিম বা নেককার কোনো জীবিত মানুষের কাছে দু‘আ চাওয়া জায়েয। তবে নিজের দু‘আ নিজে করাই সর্বোত্তম। আমরা অনেক সময় মনে করি, আমরা গুনাহগার, আমাদের দু‘আ কি আল্লাহ শুনবেন?
মনোযোগ ও কবুলের দৃঢ় আশা

আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে, বান্দা যেভাবে তার প্রভুর প্রতি ধারণা পোষণ করবে, তাঁকে ঠিক সেভাবেই পাবে। কাজেই প্রত্যেক মুমিনের উপর দায়িত্ব, আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও ভালবাসার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় রাখা। আল্লাহ আমাকে ভালবাসেন, তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন এবং তিনি আমাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন। এ দৃঢ় প্রত্যয় মুমিনের অন্যতম সম্বল ও মহোত্তম সম্পদ।
ফলাফলের জন্য ব্যস্ত না হওয়া

দু‘আর ফল লাভে ব্যস্ত হওয়া মানবীয় প্রকৃতির একটি ক্ষতিকারক দিক। বিশেষত বিপদে, সমস্যায় বা দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে আমরা যখন দু‘আ করি তখন তৎক্ষণাৎ ফল আশা করি। দুচার দিন দু‘আ করে ফল না পেলে আমরা হতাশ হয়ে দু‘আ করা ছেড়ে দেই। এ হতাশা ও ব্যস্ততা ক্ষতি ও গোনাহের কারণ। কখনোই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না।
শুধুই মঙ্গল কামনা

অনেক সময় আমরা আবেগ, বিরক্তি, রাগ, কষ্ট ইত্যাদির কারণে মনে মনে নিজের বা অন্যের ক্ষতিকর কোনো কিছু কামনা করি। বিষয়টি খুবই অন্যায়। অন্তরকে নিয়ন্ত্রিত রাখেন। সর্বদা কল্যাণময় বিষয় কামনা করুন। কষ্ট বা রাগের কারণে অকল্যাণজনক কিছু কামনা না করে এমন কল্যাণময় কিছু কামনা করুন যা কষ্ট, বেদনা বা রাগের কারণ চিরতরে দূর করবে।
বেশি করে চাওয়া
দুনিয়া ও আখিরাতের সবকিছুই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে এবং বেশি করে চাইতে হবে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
((إِذَا تَمَنَّى أَحَدُكُمْ فَلْيُكْثِرْ، فَإِنَّمَا يَسْأَلُ رَبَّهُ))
“তোমাদের কেউ যখন কামনা বা প্রার্থনা করবে তখন সে যেন বেশি করে চায়; কারণ সে তো তার মালিকের কাছে চাচ্ছে (কাজেই, কম চাইবে কেন, তিনি তো অপারগ নন, কৃপণও নন)।” হাদীসটির সনদ সহীহ।
ইবাদাত বনাম মু‘আমালাত

পোশাকী অনুকরণ বা সুন্নাতী পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম বিভ্রান্তি ইবাদত ও মু‘আমালাতের পার্থক্য উল্টা করে দেখা। ঈমান, ইবাদত, হালাল উপার্জন, স্ত্রী ও সন্তান প্রতিপালন, সৃষ্টির অধিকার বা হক্কুল ইবাদ, হারাম ও কবীরা গোনাহ বর্জন, অমায়িক ব্যবহার, হিংসা ও অহংকার বর্জন, সৃষ্টির সেবা, সৎকাজে আদেশ, অন্যায় থেকে নিষেধ ইত্যাদি অতি প্রয়োজনীয় বিষয়াদিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া […]
তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ না করা ধ্বংস ও শাস্তির কারণ

অপরদিকে রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্য ও তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ না করা। মু’মিনের চরমতম ক্ষতি ও সকল আমল বরবাদ হওয়ার কারণ। ইরশাদ হচ্ছে: ﴾يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ﴿ “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনুগত্য কর। এবং (তাঁদের আনুগত্য থেকে বিমুখ হয়ে) নিজেদের […]
তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ করাই ঈমানের আলামত

অন্যত্র জানানো হয়েছে যে, মুমিনের পরিচিতিই হলো তাঁর আনুগত্য: ﴾وَأَطِيعُوا اللهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنتُمْ مُؤْمِنِينَ﴿ “আর আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের হুকুম মান্য কর- যদি ঈমানদার হয়ে থাক।” রাসূলুল্লাহ -এর আদর্শই মুমিনের একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ: ﴾لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللهَ وَالْيَوْمَ الآخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيرًا﴿ “নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর […]
তাঁর আনুগত্যেই আল্লাহর আনুগত্য করা হয়

অন্যত্র স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য তাঁর আনুগত্য ছাড়া কোনো পথ নেই। তাঁর আনুগত্য করলেই আল্লাহর আনুগত্য করা হয়: مَنْ يُطِعْ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا “যে ব্যক্তি রাসূলের হুকুম মান্য করল সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে তাদের জন্য […]
তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণই নাজাতের ওসীলা

তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণই নাজাতের ওসীলা
অনেক আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে যে, তাঁর অনুসরণ ও আনুগত্যই নাজাতের, রহমতের ও ক্ষমার একমাত্র ওসীলা।
কুরআন কারীমে সুন্নাতের গুরুত্ব

কুরআন কারীমের অনেক আয়াতে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরিপূর্ণ অনুসরণ ও আনুগত্যের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বস্তুত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্য ছাড়া আল্লøাহ রাব্বুল আলামীনের আনুগত্যের কোনো পথ নেই। তাঁর পরিপূর্ণ অনুসরণ, অনুকরণ ও আনুগত্য, অর্থাৎ জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর ‘সুন্নাতের’ অনুসরণই মুক্তি, সফলতা ও হেদায়েতের একমাত্র মাধ্যম। বিভিন্নভাবে এই […]
সুন্নাতে নববীর গুরুত্ব

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাত বা তাঁর জীবনাদর্শকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করার গুরুত্ব প্রকাশ করে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের অসংখ্য হাদীস। আমরা এখানে সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করব। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, বই: এহ্ইয়াউস সুনান, পৃ. ৫৭।
পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা

আজ …… হিজরী সালের রবিউস সানী মাসের দ্বিতীয় জুমুআ। আজ আমরা পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা নিয়ে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। ইসলাম পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার ধর্ম। মানুষের প্রাকৃতিক পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রেও ইসলামের সুস্পষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোঁফ কর্তন করা, দাড়ি বড় করা, মিসওয়াক করা বা দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করা, নাকের […]
শিরকের পরিচয় ও কারণ

আজ সফর মাসের ৩য় জুমুআ। আজকের খুতবায় আমরা শিরক বিষয়ে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। কিন্তু তার আগে আমরা এ সপ্তাহের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলির বিষয়ে সংক্ষেপ আলোকপাত করি। ………………………………………………………………………………………………….. বিগত খুতবায় আমরা কুফর সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে, কুফরের একটি প্রকার হলো শিরক। আজ আমরা শিরক বিষয়ে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। র্শিক অর্থ অংশীদার […]