ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

জুমুআতুল বিদার মাধ্যমে আমরা রামাদানকে বিদায় জানাতে চলেছি। কিন্তু কিভাবে? বিশ্বাসঘাতকতার সাথে না বিশ্বস্ততার সাথে। রামাদান এসেছিল কুরআন, সিয়াম, কিয়াম ও তাকওয়া উপহার নিয়ে। আমরা কি রামাদানের সাথে এগুলিকেও বিদায় করে দেব? তাহলে রামাদানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। হাযেরীন, রামাদানের হাদিয়া ভালবেসে গ্রহণ করুন। কুরআন ছাড়বেন না। কত কষ্ট করে সারা মাস তারাবীহে কুরআন শুনলেন। যদি বুঝতে পারতেন তাহলে এ শোনার আনন্দ, তৃপ্তি ও সাওয়াব আরো অনেক বেশি হতো। কুরআনের নূরে হৃদয় আলোকিত হতো। আসুন সকলেই নিয়্যাত করি, আগামি রামাদানের আগে একবার অন্তত পূর্ণ কুরআন অর্থ সহ পাঠ করব। যেন আগামী রামাদানে তারাবীহের সময কুরআন শোনার সময় অন্তত কিছু বুঝতে পারি।

সিয়াম ছাড়বেন না। রাসূলুল্লাহ সা. বিভিন্ন হাদীসে বলেছেন যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি, রহমত, বরকত ও রূহানিয়্যাত অর্জনের জন্য নফল সিয়াম অতুলনীয় ইবাদত। প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালন করা, প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার, যুলহাজ্জ মাসের প্রথম ৯ দিন, বিশেষত আরাফার দিন, আশূরার দিন এবং তার আগে বা পরে এক দিন সিয়াম পালন করার অসীম ফযীলত ও সাওয়াবের কথা বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি। রামাদানের পরেই শাওয়াল মাস। ১লা শাওয়াল আমরা ঈদুল ফিতর আদায় করি। ঈদের পরদিন থেকে পরবর্তী ২৮/২৯ দিনের মধ্যে ৬টি রোযা রাখার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন:
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
“যে ব্যক্তি রামাদান মাসের সিয়াম পালন করবে। এরপর সে শাওয়াল মাসে ৬টি সিয়াম পালন করবে, তার সারা বৎসর সিয়াম পালনের মত হবে।”1মুসলিম, আস-সহীহ ২/৮২২।

কিয়াম ছাড়বেন না। কিয়ামুল্লাইলের সাওয়াব ও ফযীলত শুধু কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে জমা করলেও একটি বড় বই হয়ে যাবে। যদি শেষ রাত্রে না পারেন তবে অন্তত প্রথম রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, দু চার রাকাত সালাত আদায় করবেন। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, প্রতি রাতে, রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ বা ৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরে, রাত ১০/১১ টা থেকে দুআয় কবুলের ও রহমত-বরকতের সময় শুরু হয়। সারাদিন যে ভাবেই কাটান না কেন, অন্তত ঘুমাতে যাওয়ার আগে দু-চার রাকাআত কিয়ামুল্লাইল আদায় করে সামান্য সময় আল্লাহর যিক্র ও দরুদ পাঠ করে আল্লাহর দরবারে সারাদিনের গোনাহের ক্ষমা চেয়ে ও নিজের সকল আবেগ আল্লাহকে জানিয়ে ঘুমাতে যাবেন।

তাকওয়া ছেড়ে দেবেন না। রামাদানের পরে ইবাদত বন্দেগী কিছু কমে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে মুমিন ইচ্ছাকৃতভাবে পাপের পথে ফিরে যেতে পারেন না। তাহলে তো রামাদানের সকল পরিশ্রম বাতিল করে দেওয়া হলো। আর নিজের কষ্টে অর্জিত কর্ম নষ্ট করার মত পাগলামী আর কিছুই হতে পারে না। আল্লাহ বলেন:
وَلا تَكُونُوا كَالَّتِي نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ أَنْكَاثًا
“তোমরা সে (উন্মাদিনী) মহিলার মত হয়ো না যে তার সুতা মযবুত করে পাকানোর পর পাক খুলে নষ্ট করে ফেলে।”2সূরা (১৬) নাহল: ৯২ আয়াত।

কষ্টের আমল রক্ষা করতে আমাদের রামাদানের তাকওয়া রক্ষা করার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া কিছু বিষয় আছে যা মুমিনের জীবনের সকল আমল ধ্বংস করে দেয়। তার অন্যতম হলো শিরক ও কুফর। আল্লাহর কোনো ক্ষমতায়, গুণে বা ইবাদতে অন্য কাউকে শরীক করা হলো শিরক। আল্লাহ ছাড়া কোনো নবী, ওলী, ফিরিশতা, জিন বা অন্য কারো কোনো অলৌকিক ক্ষমতা আছে, ইচ্ছ করলেই তারা কোনো মানুষের মনের কথা জানতে পারেন, উপকার বা ক্ষতি করতে পারেন এরূপ বিশ্বাস করা শিরক।

আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সাজদা করা, গায়েবী সাহায্য চাওয়া, গায়েবী ভাবে নির্ভর করা, কারো নাম নিয়ে কাজ শুরু করা, মানত করা ইত্যাদি শিরক। শিরকের মতই মহাপাপ কুফর। যেমন, আল্লাহর দীনের কোনো বিধান অচল মনে করা, উপহাস করা, ইসলামের কোনো বিধান অমান্য করা কারো জন্য বৈধ হতে পারে বলে মনে করা ইত্যাদি। হাযেরীন, আমরা যত পাপই করি না কেন, সকল পাপের ক্ষমার আশা আছে। কিন্তু শিরক-কুফর পাপের কোনো ক্ষমার আশা নেই। আর শিরক ও কুফরের কারণে পূর্ববর্তী সকল নেক আমর বিনষ্ট হয়ে যায়। একজন মানুষ যদি নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত পালন করে এবং পাশাপাশি মদ, সিনেমা বা অন্যান্য পাপে লিপ্ত হয়, তবে পাপের কারণে নামায বাতিল হবে না। পাপ ও পুন্য উভয়ই জমা হবে।

কিন্তু যদি কেউ শিরক করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল ইবাদত বাতিল হবে। তাকে পুনরায় হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত আদায় করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন:
وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই ওহী করা হয়েছে যে, ‘তুমি আল্লাহর শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত’।”3সূরা (৩৯) যুমার: ৬৫ আয়াত।

আল্লাহ আরো বলেন:
وَمَنْ يَكْفُرْ بِالإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“কেউ ঈমানের সাথে কুফরী করলে তার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”4সূরা (৫) মায়িদা: ৫ আয়াত।

যুগে যুগে শিরক হয় মূলত নবী, ওলী, ফিরিশত বা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের নিয়ে। যারা শিরক করে তারা মনে করে এ সকল নবী, ওলী বা ফিরিশতা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন এবং তাদের পারের কাণ্ডারী হবেন। আল্লাহ বলেছেন যে, নবী, ওলী ও ফিরিশতাগণ আল্লাহর অনুমতিতে সুপারিশ করবেন ঠিকই, তবে শিরক-কুফরমুক্ত তাওহীদ ও ঈমান নিয়ে মরবেন শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করবেন। যারা শিরকে লিপ্ত হবে তাদের জন্য কেউ সুপারিশ করবে না। আল্লাহ বলেন:
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
“কেউ আল্লাহর শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ করবেন ও তার আবাস জাহান্নাম; জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।”5সূরা (৫) মায়িদা: ৭২ আয়াত।

আমরা রামাদানে প্রতি দিন প্রায় ৭০ বার এবং সারামাসে প্রায় ২ হাজার বার সূরা ফাতেহার মধ্যে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি: “শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই কাছে সাহায্য চাই”। এর পরও কি আমরা বিপদে আপদে কোনো দরগা, মাযার, জিন্ন, নবী, ওলী বা অন্য কাউকে ডাকব বা তাদের কাছে বিপদ ত্রাণের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করব? মুমিন কি তা করতে পারে? মাযারে যাবেন মাযরস্থ ব্যক্তিকে যিরারত করতে, তাকে সালাম দিতে ও তার জন্য দুআ করতে। আলিমদের কাছে যাবেন দীন শিখতে।

পীরের কাছে যাবেন আল্লাহর পথে চলার ও বেলায়াত অর্জনের পথ শিখতে। কিন্তু চাওয়া, পাওয়া, বিপদ, সাহায্য, ত্রাণ উদ্ধার এগুলি সবই একমাত্র আল্লাহর জন্য। কোথায় দৌড়াচ্ছেন দুআ করতে? আল্লাহ তো আপনার কাছে রয়েছেন। তিনি কখনোই বলেন নি, বান্দা আমার কাছে দুআ করতে তোমাকে কোথাও যেতে হবে। তিনি বলেছেন, বান্দা যেখানেই তুমি থাক না কেন, আমি তোমার কাছেই আছি। তুমি ডাকলেই আমি সাড়া দিব। রামাদান উপলক্ষ্যে আল্লাহ আমাদেরকে এ কথা বিশেষ করে শিখিয়েছেন।

রামাদানের রোযার বিধান দিয়েই পরের আয়াতে আল্লাহ বলেন:
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
“আর আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আমি তো নিকটেই। যখনই কোনো আহ্বানকারী আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া প্রদান করি। কাজেই তারা আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার উপর বিশ্বাস রাখুক, তাহলে তারা ঠিক পথে থাকতে পারবে।”6সূরা বাকারা: ১৮৬ আয়াত।

মুমিন পাপী হতে পারে, তবে হৃদয়ের গভীরে আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপর নির্ভরতা থাকতে পারে না। বিপদে আপদে আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে যাওয়ার প্রশ্নই মনে আসে না। বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাসকে কি শিক্ষা দিয়েছেন শুনুন:
يَا غُلامُ إِنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ احْفَظْ اللَّهَ يَحْفَظْكَ احْفَظْ اللَّهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلْ اللَّهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ رُفِعَتْ الأقْلامُ وَجَفَّتْ الصُّحُفُ
“হে বালক, আমি তোমাকে কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিচ্ছি। তুমি আল্লাহকে হেফাযত করবে, তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহকে (তোমার অন্তরে সদা জাগরুক ও)

সংরক্ষিত রাখবে, তাহলে তাঁকে সর্বদা তোমার সামনে পাবে। যখন চাইবে বা প্রার্থনা করবে তখন শুধু আল্লাহর কাছেই চাইবে। যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন শুধু আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রাখ, যদি সকল মানুষ তোমার কোনো কল্যাণ করতে সম্মিলিত হয়, তাহলে তারা তোমার শুধুমাত্র ততটুকুই কল্যাণ করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। আর যদি তারা সবাই তোমার অকল্যাণ করতে একজোট হয়, তাহলে তারা তোমার শুধুমাত্র ততটুকুই অকল্যাণ করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করেছেন। কলমগুলি উঠে গেছে এবং পৃষ্ঠাগুলি শুকিয়ে গিয়েছে।”7তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৬৬৭, নং ২৫১৬, মুসতাদরাক হাকিম ৩/৬২৩, ৬২৪। হাদীসটি সহীহ।

রামাদানের আমল বরবাদ হওয়ার আরেকটি বিষয় সালাত। অনেকেই রামাদানে রোযা রাখেন এবং নামায পড়েন, কিন্ত রামাদানের পরে আর ফরয নামায পড়েন না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে। কুরআন ও হাদীসে নামায পরিত্যাগ করাকে কুফরী বলা হয়েছে। সাহাবী-তাবিয়ীগণ অনেকেই এক ওয়াক্ত সালাত পরিত্যাগ করাকেই কুফরী বলে গণ্য করতেন। অন্যরা বলেছেন যে, নামায ত্যাগ করা কুফরী না হলেও কুফরী গোনাহ। অর্থাৎ মদপান, শুকরের মাংশ ভক্ষণ ও অন্য সকল পাপের চেয়েও মহাপাপ হলো এক ওয়াক্ত নামায পরিত্যাগ করা। আর যদি কেউ মনে করে যে, নামায না পড়েও ভাল মুসলমান থাকা যায় তবে সে নিঃসন্দেহে কাফির হয়ে যায়।

আমরা চেষ্টা করব, সকল সুন্নাত-মুস্তাহাব পালন করে পরিপুর্ণভাবে সালাত আদায় করতে। কিন্তু অসুবিধা হলে যতটুকু সম্ভব হাযিরা দিতে হবে। ওযূ না করতে পারলে তায়াম্মুম করে, পবিত্র কাপড় না থাকলে নাপাক কাপড়ে, কাপড় না থাকলে উলঙ্গ হয়ে, কিবলামুখি হতে না পারলে যে দিকে মুখ করে সম্ভব, দাঁড়াতে না পারলে বসে, শুয়ে যেভাবে সম্ভব, সূরা কিরাআত বা দুআ না জানলে শুধু আল্লাহু আকবার বা সুবহানাল্লাহ পড়ে সালাত আদায় করতে হবে। এতেই সালাত আদায় হয়ে যাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই জ্ঞান থাকা অবস্থায় সালাত কাযা করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন:

ফরয সালাত কাযা করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
لاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوْبَةً مُتَعَمِّداً فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّداً فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ (ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُوْلِهِ)
“ইচ্ছাপূর্বক এক ওয়াক্ত ফরয সালাতও পরিত্যাগ করবে না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক এক ওয়াক্ত ফরয সালাত পরিত্যাগ করবে, সে আল্লাহর যিম্মা ও তাঁর রাসূলের (সা.) যিম্মা থেকে বহিস্কৃত হবে।”8হাকিম, আল-মুসতাদরাক ৪/৪৪; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/২৯৫; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/১৩৮-১৩৯। হাদীসটি সহীহ।

এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে? নাম কাটা যাওয়ার পরে তো আর উম্মাত হিসেবে কোনো দাবিই থাকে না। ক্ষমা লাভ বা শাফাআত লাভের আশাও থাকে না। আল্লাহ আমদেরকে রামাদানের তাকওয়া, সালাত, সিয়াম, কিয়াম ও সকল আমল হিফাযত করার তাওফীক দিন। আমীন।